রাজ্যে করোনার টিকার অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। এই নির্দেশিকা অনুসারে কোনও শিশিতে উদ্বৃত্ত টিকা থাকলে তা ফেলে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যে অপর্যাপ্ত করোনা টিকা এসে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সব থেকে বেশি সংখ্যায় করোনাযোদ্ধাদের টিকাকরণ করতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
পুনের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কোভিশিল্ডের যে চালান এসেছে তার প্রতিটি শিশিতে রয়েছে ৫০ মিলিলিটার করে টিকা। জনপ্রতি ৫ মিলিলিটার টিকা প্রয়োগ করতে হয়। ফলে একটি শিশি থেকে ১০ জনের টিকাকরণ করা যায়। হচ্ছেও তাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু শিশিতে ৫০ মিলিলিটারেরও বেশি টিকা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তা ৫৫ মিলিলিটারেরও বেশি। সেক্ষেত্রে ১০ জনের টিকাকরণের পর শিশিটি ফেলে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু সেই টিকা ফেলে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
দফতরের তরফে জারি এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশিতে অবশিষ্ট সমস্ত টিকা ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ১০ জনের টিকাকরণের পর শিশিতে যদি আরও ১ জনের টিকাকরণের মতো টিকা অবশিষ্ট থাকে তাহলে কোনও মতে সেই শিশি ফেলে দেওয়া যাবে না।
শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। প্রথম দফায় টিকা পাচ্ছেন করোনাযোদ্ধারা। রাজ্যের ২১২টি কেন্দ্রে হয় টিকাকরণ। প্রথম দিন রাজ্যে ২০,৭০০ জনের টিকাকরণের কথা ছিল। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যায় লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ ছোঁয়া গিয়েছে। কেন্দ্রের মতে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ টিকাকরণ করতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গ।