পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত প্রতি ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রবীণ নাগরিক। আর সেটা রুখতেই এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রাজ্যের শহুরে এলাকায় বসবাসকারী বরিষ্ঠ নাগরিকদের ওপর প্রশাসন ত্রিস্তরীয় পর্যবেক্ষণ চালাবে। বিশেষ করে নজর রাখা হবে বহুতল আবাসন বা হাউসিং কমপ্লেক্সে থাকা নিঃসঙ্গ প্রবীণদের ওপর।
এই ত্রিস্তরীয় পর্যবেক্ষণে মূল দায়িত্ব থাকবে সরকারের ৩ দফতরের ওপর। এক, পুলিশ। দুই, জেলা প্রশাসন। তিন, স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জন প্রতিনিধি। এরা নিয়মিত নজর রাখবে বরিষ্ঠ নাগরিকদের ওপর। এই নজরদারির জেরে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারবেন প্রবীণরা। দ্রুত পৌঁছবে অ্যাম্বুল্যান্সও। আর এর জেরে কমবে মৃত্যুর হারও।
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিশেষ করে শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বহুতল আবাসন বা হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দা প্রবীণ নাগরিকদের ওপর নজর রাখতে হবে স্থানীয় থানার আধিকারিক, বিডিও, ব্লক মেডিক্যাল অফিসার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের মতো জনপ্রতিনিধিদের। তাঁদের ওই সমস্ত আবাসনের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ফোন নম্বর আদানপ্রদান করতে হবে। যাতে কোনও প্রবীণ আবাসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে বা করোনায় আক্রান্ত হলে প্রশাসনের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে যায়। এভাবেই দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেক, বিধাননগর এলাকায় কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আসানসোল–দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, চন্দননগরের স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে বলা হয়েছে।