জানুয়ারিতেই দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষা। তাতে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ১ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করবেন।
করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে এখনও ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় গোটা বিশ্ব। রাশিয়া ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে বলে দাবি করলেও বাণিজ্যিকভাবে তা এখনো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও চলছে ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিন’ তৈরির গবেষণা। তাতে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা এরমধ্যেই শেষ হয়েছে। ভারত বায়োটেক নামে এই গবেষণা চালাচ্ছে ICMR. তাতে প্রথম দুই ধাপের ফল বেশ আশাপ্রদ। ফলে তৃতীয় দফার পরীক্ষাও সফল হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
শান্তাদেবী জানিয়েছেন, ‘সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গসহ ৫ রাজ্যে ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষা হবে। নিয়ম অনুসারে তৃতীয় দফার ফল বিশ্লেষণ করতে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনা করে WHO ৪ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি দেবে বলে আমরা আশাবাদী। সেক্ষেত্রে জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের হাতে আসবে এই ভ্যাকসিন। মার্চের মধ্যে গোটা দেশে পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন।’
শান্তাদেবী জানিয়েছেন, তৃতীয় দফার পরীক্ষায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেবেন। একবার ভ্যাকসিন হাতে এলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে টিকাকরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।