আজ সকাল থেকেই বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ঘিরে। এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে অবশ্য রাজি হননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে এই বিষয়ে অভিষেকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিষেক যে আদতে কলকতাতেই নেই। গত রবিবার মধ্যরাতে তিনি দুবাই গিয়েছেন। সূত্রের খবর, চোখের চিকিৎসা করাতেই তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুবাই গিয়েছেন। এর ফাঁকে অভিষেকের নামে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যে পোস্টার পড়েছে, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে। (আরও পড়ুন: পার্থকাণ্ড কোন ছাড়, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গলের সম্পত্তির পরিমাণে চোখ উঠবে কপালে)
উল্লেখ্য, এর আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ‘নতুন তৃণমূলে’র ডাক দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সভার পর ইডির জালে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিবিআই হাতকড়া পরিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এই আবহে অভিষেকের নামে এবং উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্টার পড়ায়, কতকটা অস্বস্তিতেই পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও যে সংগঠনের তরফে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে, তার সভাপতি কুমার সাহা বলেছেন, ‘অভিষেককে আলাদা ভাবে নেতা হিসাবে তুলে ধরার জন্য এই পোস্টার নয়। তার কোনও প্রয়োজনও নেই। তিনি ইতিমধ্যেই নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। আমরা তাঁকে ভালোবাসি। তিনি দলে স্বচ্ছতা ভাবমূর্তির কথা বলেছেন। তাই পোস্টার দিয়েছি। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়েও আমরা পোস্টার দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম
এদিকে অভিষেক দুবাই থেকে ফিরে ‘নতুন তৃণমূল’ নিয়ে মুখ খোলেন কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরেও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিতর্ক শুরু হতেই হোর্ডিংগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত রাসবিহারী, কালিঘাট, ভবানীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টার পড়েছিল। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।’ কোনও পোস্টারে আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। এই লড়াই আমাদের ২৪ এর লড়াই।’
যদিও কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই পোস্টার দলের তরফে দেওয়া হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সংলাপকে ব্যবহার করেই কেউ এই হোর্ডিং দিয়েছেন। এটা তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দিয়েও হোর্ডিং তৈরি হয়। এটা নিয়ে এত আলোচনার কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, অভিষেক সেনাপতি। আর নতুন তৃণমূলের কথা অভিষেক বহুবার বলেছেন। এটা নতুন কিছু নয়, নতুন তৃণমূল মানে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’