ঝালদায় খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনায় তাঁরই ভাইপো তথা পুরসভা নির্বাচনের তপনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিকে তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তপন কান্দুর পরিজনরা। পুলিশের উপর একেবারেই ভরসা নেই, জানিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার দীপক কান্দু হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। সোমবার হাইকোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যেই তপন কান্দুর ছবি সহ পোস্টার পড়েছে ঝালদার বিভিন্ন জায়গায়। যেখানে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আওয়াজ তোলা হয়েছে।
এদিকে কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় বেটিং তত্ত্ব উঠে এসেছিল আগে। ভোটে হারজিত নিয়ে দীপক কান্দুর বাবার সঙ্গে মোটা টাকা বাজি ধরেছিলেন তপন কান্দু। সেই বাজিতে জিতে যান তপন কান্দু। তবে কি সেই আক্রোশেই চিরদিনের জন্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তপন কান্দুকে? এনিয়ে নানা জল্পনার অন্ত নেই। তবে অন্যতম বড় অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, তপন কান্দু খুনের দিন ঝালদা-বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কে নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন ১জন এসআই ও ৪জন কনস্টেবল। তাদেরকে আপাতত ক্লোজ করা হয়েছে।আইসির বিরুদ্ধেও হুমকি দেওয়া সহ বার বার নানা বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন তপন কান্দুর আত্মীয়রা। সেই আইসিকেও আপাতত দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।