সম্প্রতি তিনি তাঁকে টুইটারে ব্লক করেছেন। ৬ বার চিঠি লিখেছেন তাঁর অপসারণ চেয়ে। তাঁর দলের সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে বলেছেন, ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। এবার নাম না করে তাঁকেই আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ঘোড়ার পাল বলে আক্রমণ করেছেন।
আজ, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের চেয়ারপার্সন হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিজেপি, রাজ্যপাল–সহ নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বিজেপিকে চু–কিত–কিত দল বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। আবার ঘোড়ার পাল বলেছেন নাম না করে। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়াই করবেন বলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক নয়াদিল্লিতে হবে বলেও তিনি জানান।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এদিন তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বলেন, ‘এক ঘোড়ার পালকে পাঠিয়েছে রাজ্য শাসন করার জন্য। ২৬ জানুয়ারি প্যারেডের সময় এক ঘোড়ার পালকে দেখছিলাম। আমাদের মাউন্টেড পুলিশ রয়েছে। তাঁরাও জানতে পেরেছেন এখ ঘোড়ার পাল আছে। তাই ওরা রেগে গিয়েছে।’ এই বাক্যবাণ যে রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করেই তা মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ সাধারণতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রী কোনও কথা বলেননি রাজ্যপালের সঙ্গে। সেই ছবি সবাই দেখেছে।
তবে এখানেই শেষ নয, আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘সকাল নেই সন্ধ্যে নেই আমাকে গালাগাল দিচ্ছে। কখনও আবার টুইট করছে। কখনও আমারই টুইট হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিচ্ছে। খালি কৈফিয়ত চাইছে কী করতে হবে। মা ক্যান্টিন চলছে। গরীব মানুষ ৫ টাকায় খেতে পাচ্ছে। তা নিয়েও প্রশ্ন হচ্ছে। কেন হচ্ছে? কোথা থেকে হচ্ছে? আর খালি বলছে দেখ লেঙ্গে। তুমি কে ভাই? একবারও তো কাউন্সিলর হওনি। দশবার দলবদল করেছো। তুমি কী জানো?’