শনিবার কংগ্রেসে যোগদান করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ফিরহাট হাকিমের জামাই ইয়াসের হায়দার। তৃণমূলের পাঁচ জন শীর্ষনেতার অন্যতম ও রাজ্যের মন্ত্রীর ঘরে ভাঙন ধরায় রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের ভরাডুবি আসন্ন বুঝে কংগ্রেসে ইঁট পাতছেন ফিরহাদ। এসবের মধ্যেই মুখ খুললেন ইয়াসের হায়দারের স্ত্রী তথা ফিরহাদের বড় কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। জানালেন, ইয়াসেরের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে।
বৃহস্পতিবার এই সময় ডিজিটালকে প্রিয়দর্শিনী জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকে ইয়াসের আমার সঙ্গে থাকেন না। আমরা আলাদা থাকি। আমার সঙ্গে ওনার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনি আরও বলেন, ইয়াসের কংগ্রেসে যোগদান করবেন সে খবর আমার কাছে ছিল না। তবে যে কেউ যে কোনও দলে যোগদান করতেই পারেন। উনি তৃণমূল কংগ্রেস অনেকদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছেন।
ইয়াসেরের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা। একদল বলছে, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে শক্ত করে বিরোধী ভোট ভাগ করতে ইয়াসেরকে কংগ্রেসে পাঠিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের পর কোনও এক দিন তৃণমূলে ফিরে আসবেন তিনি। আরেক দলের মতে, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি আসন্ন বুঝে কংগ্রেসে ইঁট পাতছেন ফিরহাদ। যাতে তাঁর অন্তত একটা গতি হয়। অন্য একটি অংশের মতে, ইয়াসেরের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা পূরণ হয়নি। মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা করেছেন ফিরহাদ। কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বড় মেয়ে ফিরহাদের কার্যত ছায়াসঙ্গী। উলটো দিকে জামাই ইয়াসেরকে ওয়ার্ডের রাজনীতিতেই আটকে রেখেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ইয়াসের। কিন্তু সেই আশাও পূর্ণ হয়নি। তার পর প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই তিনি তৃণমূলের অন্দরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।
এদিন অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করে ইয়াসের বলেন, তৃণমূলে সাধারণ কর্মীদের কোনও দাম নেই। ওখানে সেলিব্রিটিরা টিকিট পান।