ট্রাকের ধাক্কায় একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল! রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন জনতা। শেষে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। শেষে কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতা কিশোরীর নাম অপু ঘোষ (১৭)।
আরও পড়ুন: সাতসকালে মা ফ্লাইওভার সহ ৩ জায়গায় পথ দুর্ঘটনা, বাড়িতে ঢুকে গেল লরি, মৃত ১
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী কাঁকসার রক্ষিতপুরের বাসিন্দা। বুধবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে মলানদিঘি এলাকায় টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল ছাত্রীটি। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। কাঁকসার লোহাগুরি এলাকায় সিমেন্ট বোঝায় ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে অপুকে ধাক্কা মারে। সজোরে ধাক্কার ফলে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়ে ছাত্রীটি। তখন স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ভিড় করেন স্থানীয় মানুষজন। এদিন পথ দুর্ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা পথ অবরোধ করে। পরে সিমেন্ট বোঝায় ওই ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয়। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরে পৌঁছায় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পথ অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। মৃতা কিশোরীর কাকা দেবপ্রকাশ ঘোষ এই ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের তোলাবাজির ভয়ে ট্রাকগুলি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ তোলাবাজি না করলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। নিত্যদিন ভারী গাড়ির যাতায়াতের ফলে আতঙ্কের মধ্যে রাস্তায় যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। তিনি জানান, তাঁর ভাইঝি টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখনই প্রচন্ড গতিতে একটি সিমেন্ট বোঝায় ট্রাকটি ধাক্কা মারে। এর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।