নিউ মার্কেটের আধুনিকীকরণ করা হবে। পুরনো ঐতিহ্য বজার রেখেই সাজিয়ে তোলা হবে ভারত তথা দেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য কেন্দ্রকে। এই প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরকে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি জানান, এস এস হগ মার্কেট, যেটি কিনা নিউ মার্কেট নামে জনপ্রিয়, তার ১৫০ বছর পূর্তি হবে। আর তার আগেই অন্তত নিউ মার্কেটের প্রবেশ পথ, ক্লক টাওয়ারকে তার পুরনো গরিমায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করা হবে। আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৪-এর মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করা হবে। আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে ত্রিফলা আলো! বসানো হবে আধুনিক এক স্তম্ভের বাতি
তবে সেখানেই শেষ নয়। এরপর নিউ মার্কেটের সার্বিক উন্নয়নের কাজ চালানো হবে। আধুনিকীকরণ হবে। এর জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে ১৮ কোটি টাকার তহবিলের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
TOI-র রিপোর্ট অনুযায়ী,, এর জন্য রেস্টোরেশন আর্কিটেক্ট, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করা হবে। মার্কেটের ছাদ, দেওয়াল, পিলারের শক্তি পরীক্ষা করা হবে।
বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিত্ সোম জানান, এর আগে টালা ট্যাঙ্ক সফলভাবে স্ট্রাকচারাল রেস্টোরেশনের কাজ হয়েছে কলকাতায়। তেমনই প্রস্তাব করা হয়েছে এই ক্ষেত্রেও। অর্থাত্ শুধুমাত্র বাহ্যিক সারাইয়ের কাজ নয়। সম্পূর্ণ রূপে সংরক্ষণমূলক কাজ করা হবে। পুরো বিষয়টাই করা হবে নিউ মার্কেটের ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে অক্ষুণ্ণ রেখে।
নিউ মার্কেটের একটু ঢুঁ মারলেই এই কাজের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে যাবে। মার্কেটের বহু অংশে দ্রুত মেরামতের প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে সিলিং থেকে পলেস্তঁরা, ঢালাই খসে পড়েছে। বিশেষত সবজি, ফুল এবং মাংসের বাজারের অবস্থা শোচনীয়। এছাড়া গোলঘরের অবস্থাও ভাল নয়। যে কোনও দিন অঘটন ঘটতে পারে।
এছাড়া ঘিঞ্জি বাজারের নিকাশী ব্যবস্থা, বিদ্যুত্ সরবরাহ, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থারও আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। আরও পড়ুন: বছর ঘুরলেই কলকাতা বইমেলা, দিন ঘোষণা হল, স্টল কতগুলি?
সূত্রের খবর, নিউ মার্কেটের ঐতিহ্যবাহী ক্লক টাওয়ারটির বিষয়েও আলাদা করে ভাবা হচ্ছে। শুধুমাত্র এই ঐতিহাসিক স্থানের পুনরুদ্ধারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে। ব্রিটেনের জিলেট অ্যান্ড জনসনের তৈরি এই বিশেষ ঘড়িটিও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা রিস্টোরেশন করা হবে।