রবিবারই কংগ্রেস সহ দেশের তাবড় দলগুলির জোট INDI ব্লক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে জেডিইউ। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন দল এবার হাত ধরেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের। এদিকে, শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, উত্তরবঙ্গে রাহুল গান্ধীর সফর নিয়ে। প্রশ্ন করা হয়, তখন মমতা ও রাহুল যেহেতু একসঙ্গে উত্তরবঙ্গের বুকে থাকবেন, তাহলে কি তখন দুই নেতা নেত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে? মমতা বলেছিলেন, তাঁকে এই নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে কোনও ফোন করেননি। এদিকে, মমতার রাজ্যে শিলিগুড়ি পৌঁছে রাহুল গান্ধী কার্যত নাম না করে ইঙ্গিতবহ বার্তা দিলেন। রাহুল বলেন, ‘বাংলার দায়িত্ব দেশকে পথ দেখানো, আর তা না করলে দেশ ক্ষমা করবে না বাংলাকে।’
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে এদিন রাহুল গান্ধীর সভায় উপচে পড়ে ভিড়। সন্ধ্যে গড়াতেই রাহুলের মিছিলকে কেন্দ্র করে ভিড় দেখা যায়। এসইউভির উপরে চড়ে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে থাকেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘অন্য কোন রাজ্য আমাকে এত ভালবাসা দেখায়নি যতটা তুমি দেখিয়েছ। বাংলা একটি বিশেষ জায়গা। এখানকার মানুষ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বা বিবেকানন্দের মতো করে জাতিকে রাস্তা দেখানো আপনাদের কর্তব্য। আপনি না করলে দেশ আপনাকে ক্ষমা করবে না।’ প্রসঙ্গত, এর আগে, উত্তরবঙ্গে রাহুলের আসা নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে, শুক্রবার দিদি বলেন,' এলে আসবে। আমার কর্মসূচি তো আগে থেকেই ঠিক আছে। যদি আসে এক কাপ চা খেয়ে যাবে।' এর আগে, ইন্ডি জোটের অন্দরে যে ঐক্যের সুর শোনা গিয়েছিল, তা কার্যত ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে। মমতা সাফ জানান, তাঁরা বাংলার ৮২ আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়তে প্রস্তুত। তব মমতার বক্তব্য শোনার পরও কংগ্রেস, দরজা খোলা রাখার বার্তা দেয়। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ গুয়াহাটিতে বসেই সাংবাদিকদের জানান, মমতাকে ছাড়া জোটের কথা ভাবাই যায় না। এদিকে, শোনা যায়, যে বরফ গলাতে ময়দানে নামতে পারেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
অন্যদিকে, গত ২০১৯ লোকসভা ভোটে বাংলায় রাজনৈতিক ফলাফলের মানচিত্র দেখলে দেখা যাবে, ৪২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি সেবার ১৮ টি আসন পেয়েছিল। তবে এবার বিজেপির সঙ্গে ৪২ আসনে সম্মুখ সমরে নামতে চায় তৃণমূল। সেই বার্তা কিছুদিন আগে দিয়েছেন মমতা। এরপর রাহুলের বক্তব্য আসে সামনে।