পাঁচতলা। পুরোটাই সাঁতরাগাছি স্টেশন। একেবারে ঝা চকচকে। অত্য়াধুনিক স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলা হবে সাঁতরাগাছি স্টেশনকে। এই স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে যোগ হবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। মূলত হাওড়া স্টেশনের উপর চাপ কমাতে সাঁতরাগাছি আর শালিমার স্টেশনের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ৬ বছর আগে শালিমার ও সাঁতরাগাছি স্টেশনের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে সূত্রের খবর, চলতি বছরের মধ্য়েই এবার এই সাঁতরাগাছি ও শালিমার স্টেশনের উন্নতির কাজ সম্পূর্ণ হতে পারে।
সূত্রের খবর, সাঁতরাগাছি স্টেশনটিতে বর্তমানে ৬টি প্লাটফর্ম রয়েছে। তবে এখানে প্লাটফর্মের সংখ্য়া বাড়িয়ে ৮টি করা হবে। এর জেরে দূরপাল্লার ট্রেন আরও বেশি করে দাঁড়াতে পারবে এখানে। এই স্টেশনটি একেবারে হাওড়া স্টেশনের বিকল্প হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আবার শালিমার স্টেশনে বর্তমানে তিনটি প্লাটফর্ম রয়েছে। সেটা বাড়িয়ে পাঁচটি করা হবে। সেই সঙ্গে আধুনিক কিছু পরিষেবাও থাকবে। এখানে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নানা ব্যবস্থা থাকবে। আন্ডারপাসের ব্যবস্থা থাকবে। লিফটের সুবিধা থাকবে। বর্তমানে এখানে এক প্লাটফর্ম থেকে অপর প্লাটফর্মে লাগেজ নিয়ে যেতে গেলে যথেষ্ট সমস্যা হয়। সেটা কেটে যাবে।
একেবারে আধুনিক রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সাঁতরাগাছি স্টেশনও। তবে যাত্রীদের একাংশের দাবি, শালিমার স্টেশনে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে লাগেজ টেনে দীর্ঘ পথ হাঁটতে হয় যাত্রীদের। বয়স্ক ও শিশুদের অত্যন্ত সমস্যা হয় এতে। এই বিষয়টি যাতে রেল যথাযথভাবে খতিয়ে দেখে এনিয়ে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি।
হাওড়ার বদলে বহু দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে শালিমার ও সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে। তবে মূলত শালিমার স্টেশনের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা রয়েছে। মূলত রাতের দিকে পরিষেবা একেবারে তলানিতে যায়। একেবারে নিঝুম হয়ে যায় এলাকা। আলোও কিছুটা কম থাকে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। কলে অনেক সময় জল থাকে না। সেক্ষেত্রে পরিষেবা আরও উন্নয়নের দাবি উঠছে। তবে সূত্রের খবর, একেবারে আধুনিক পরিষেবা দেওয়া হবে এই দুই স্টেশনে। শালিমার ও সাঁতরাগাছি দুটি স্টেশনকেই একেবারে অত্যাধুনিক হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তবে সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় বাংলায় সব মিলিয়ে ৯৮টি স্টেশন সহ ৫৫৪টি স্টেশন, একাধিক রোড ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। দেশের মোট ২১৩৯টি জায়গায় এই অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হবে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে গোটা দেশজুড়ে অমৃত ভারত প্রকল্প।