একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এত সংখ্যক বেআইনি বাজি কারখানার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানই বা হবে কী করে? পুজোর আগে কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় তাই দিন গুনছিল বাজি শ্রমিকরা। এবার রাজ্য সরকারের ভূমিকায় কিছুটা হলেও ভরসা ফিরে পাচ্ছেন তারা। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করে আতসবাজির ক্লাস্টার তৈরি করতে উদ্যোগী বাংলার সরকার। কর্মহীন হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের সবুজ বাজি তৈরী এবং বিক্রির জন্য এক মাসের জন্য অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে শারদীয়া উৎসবের কথা মাথায় রেখে।
প্রসঙ্গত এই এক মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে জেলায় জেলায় খালি জমি নির্দিষ্ট করা হবে, যেখানে শ্রমিকরা বাজি তৈরি এবং বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও কোনও ব্যবসায়ী যদি নিজের জমিতে আতসবাজি ক্লাস্টার তৈরি করতে চায়, তাহলে তাকেও আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ এবং বিস্ফোরণের মতো ঘটনা এড়াতে জেলায় জেলায় বাজি ক্লাস্টার বানানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, জমি থাকা কোনও ব্যবসায়ী যদি ক্লাস্টার তৈরি করতে চান, তবে তাঁর খরচের ৯০ শতাংশই রাজ্য সরকার দেবে। পাশাপাশি বেআইনি বাজি কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের মূলস্রোতে ফেরাতে কালীপুজোর আগে বাজি বানানো এবং বিক্রি করতে একমাসের জন্য একটা টেম্পোরারি লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এরই সঙ্গে সঙ্গে শিল্পসাথী পোর্টালে শ্রমিকদের নাম তোলার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। গত শনিবার ১ হাজার শ্রমিক ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মশালয় যোগ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বেআইনি কারখানা বন্ধ করে বাজি ক্লাস্টার তৈরি করতে কতটা সফল হয় রাজ্য সরকার সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে আতশবাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ।