সাংসদ পদেই থাকবেন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন দুই বিজেপি নেতা। ইতিমধ্যেই বিজেপি-র ৭৭ জন বিধায়কের সিংহভাগই বিধানসভায় এসে শপথ নিয়েছেন। তবে শপথ গ্রহণকারীদের সেই তালিকায় নাম ছিল না নিশীথ ও জগন্নাথের। তা নিয়ে জল্পনা চললেও দু’জনেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেবেন তাঁরা। এরপরই জানা যায় যে দুই নেতাকে সংসদেই রেখে দিতে চায় দল। সেই মোতাবেক এদিন দুই নেতা বিধানসভায় গিয়ে বিদায়ক পদ ছেড়ে দেন।
প্রসঙ্গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার ৪ সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। নির্বাচনে জিতলে সাংসদদের মন্ত্রী করার পরিকল্পনা থেকেই হয়ত এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে দেখা যায়, বিধানসভা ভোটে লড়াই করা সাংসদদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। তবে জেতেন নিশীথ এবং জগন্নাথ। মাত্র ৫৯ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হন নিশীথ প্রামাণিক। অপরদিকে শান্তিপুরে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোটে জিতেছেন।
এদিকে নিশীথ-জগন্নাথ বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ায় দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপনির্বাচন হবে। বিজেপি নেতৃত্বের ভেবেছিল, বাংলায় দল ক্ষমতায় এলে চার সাসংদদের ছেড়ে আসা লোকসভা আসনগুলিতে উপনির্বাচনে দল নতুন কোনও প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। তাই উপনির্বাচনে দিনহাটা ও শান্তিপুরে দখল কায়েম রাখা বিজেপি-র কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। কারণ, সাধারণ ভাবে দেখা যায় উপনির্বাচনে শাসকদলেরই জয় হয়।