জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন ২০২৪-য়ে ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর করেছিলেন এক পরীক্ষার্থী। তবে তারপরেও সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে। জানুয়ারি সেশনে তিনি ৭.৪ পার্সেন্টাইল পেয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে।
অর্থাৎ জানুয়ারি সেশনে এত কম নম্বর পেল আর এপ্রিলে একেবারে ১০০ পার্সেন্টাইল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই পরীক্ষার্থী। তবে অত সহজে অবশ্য় বিষয়টিকে ছাড়তে রাজি নন নেটিজেনরা। তাদের দাবি হয়তো চিটিং করা হয়েছে। তবে ওই পরীক্ষার্থীর দাবি তিনি কোনও চিটিং করেননি। সেই সময় তাঁর শরীরটা ভালো ছিল না। সেকারণে তিনি ঠিকঠাক পরীক্ষা দিতে পারেননি।
আর ওই পরীক্ষার্থীর কোচিং সেন্টার বলছে এভাবে বেচারাকে নিয়ে ট্রোলিং করাটা ঠিক হচ্ছে না। আসলে একটা সেশনে সম্ভবত শরীর খারাপ থাকার জন্য় তিনি নম্বর ঠিকঠাক পাননি। তবে পরের সেশনে তিনি বাজিমাত করেন। কিন্তু তা নিয়েও ট্রোল করা হচ্ছে তাঁকে।
এদিকে জেইই মেইন ২০২৪ এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ২৫ এপ্রিল। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দেশের ৫৬ জন সেরার সেরা তালিকায়। এদিকে, জেইই মেইন পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া ব়্যাঙ্ক (AIR) এ প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নীলকৃষ্ণ গজারে। মহারাষ্ট্রের কৃষক পরিবারের সন্তান নীলকৃষ্ণের স্বপ্ন রয়েছে বম্বে আইআইটি ঘিরে। নীলকৃষ্ণের পরই রয়েছে দক্ষেষ সঞ্জয় মিশ্র, তিনি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ও আরভ ভট্ট, তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
নীলকৃষ্ণ বলছেন, ‘জেইই অ্যাডভান্সে আমার টার্গেট হল, আইআইটি বম্বেতে আমার কম্পিউটার সায়ান্সে একটি আসন দখল করা। আমি সেটার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ যাঁরা আইআইটি জেইইর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি নীলকৃষ্ণের বার্তা, ‘নিজের টার্গেট সেট করে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। মন থেকে আগ্রহ নিয়ে বিষয়গুলিকে পড়তে হবে, এটিকে বোঝা মনে করলে হবে না।’
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, 'আমার সফর যখন শুরু হয়েছিল, তখন প্রথম এক বা দুই মাস একটু… মানে দশম শ্রেণির তুলনায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস বেশ বড়। প্রথমে সবটা মানিয়ে নিতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে।' এরপর কীভাবে সামলেছেন নিজেকে? নীলকৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, ‘প্রথমে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল মানিয়ে নিতে, তবে আমি হাল ছাড়িনি। আমি পড়ুয়াদের একথাই বলব, যদি সমস্যা আসে, যদি কখনও মনে হয় যে হচ্ছে না বা পারা যাচ্ছে না, তাহলে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে, ভালো জিনিস ঠিক হবে। ’