ঘোষণা হয়েছিল আগেই, এবার নতুন শিক্ষাবর্ষে তা হাতে কলমে প্রয়োগ শুরু করল সিবিএসই বোর্ড। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এবার থেকে বছরে দু’বার করে হবে বোর্ড এক্সাম। ছাত্রছাত্রীরা তাদের চেষ্টায় যেই পরীক্ষাটিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাবে, সেটিই ধরা হবে তাদের প্রাপ্ত নম্বর হিসাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামোএর অধীনে এই পরিবর্তনগুলি চালু করছে সিবিএসই। এবার থেকে বছরে দু’বার বোর্ড এক্সামে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের স্কোর বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পাবে, যা অতীতে কোনদিনও দেখা যায়নি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিষয়ক ভীতি এবং পরীক্ষার সময় চাপ বা উদ্বেগ কমান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন একাংশ শিক্ষক।
পরীক্ষার বিষয়টি ছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত বিষয় নির্বাচন করতে পারবে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে। দশম শ্রেণি পরবর্তীতে বিজ্ঞান কলা কিংবা অর্থনীতি যেকোনও শাখার বিষয়ই একত্রে পড়তে পারবেন কোনও পরীক্ষার্থী। এর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দুটি ভাষা শিখতে হবে, যার মধ্যে একটি হতে হবে ভারতীয় ভাষা। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে দেশের একাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষানীতির গৈরিকীকরণ ও বেসরকারিকরণের নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধও। এখন দেখায় এই নীতি প্রয়োগের ফলে ঠিক কী কী পরিবর্তন আসে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে।
(আরও পড়ুন: Dearness Allowance Latest Update: চুপিসারে ৯ থেকে ১৬% ডিএ বাড়ল একাংশের, রাজ্যের বাকিদের ঝুলিতে শুধুই হতাশা)
সিবিএসই বোর্ড আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে এখানে। তারা স্পোর্টস ইভেন্ট কিংবা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেবে। দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির কোনও ছাত্রছাত্রীর ক্ষেত্রে বোর্ড পরীক্ষার দিন যদি স্পোর্টস ইভেন্ট বা অলিম্পিয়াডের মত কর্মসূচি পড়ে, তাহলে তার জন্য পরে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান হয়েছে। তবে, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও সুযোগ পাবে না সেই শিক্ষার্থী। নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রয়োগ শুধু সিবিএসই বোর্ডেই নয়, দেশের অন্যান্য বোর্ডগুলিতেও প্রয়োগ করা হবে। আবার বহু রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির পরিবর্তে রাজ্যভিত্তিক শিক্ষানীতির ঘোষণা করেছে।