শিশুদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বড় উদ্যোগ। একেবারে ছোটবেলায় শিশুদের বিকাশ ও শিক্ষার জন্য পদক্ষেপ করা হল। সোমবার নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তিন থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের বিকাশ এবং তাদের শিক্ষার জন্য একটি জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করা হচ্ছে। কবে থেকে এটি শুরু হবে, এখনও সেটার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।
এই পদক্ষেপটি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ছয় বছর বয়সের আগে বাচ্চাদের মস্তিষ্কের ৮৫ শতাংশ বিকাশ ঘটে। তাই এই সময়ের মধ্যে শিশুর বিকাশ এবং তাদের শিক্ষার পরিকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা। ২০২৪ সালের ন্যাশনাল ফ্রেমওয়ার্ক ফর আর্লি চাইল্ডহুড স্টিমুলেশন অর্থাৎ ECCE ২০২৪-এর জাতীয় পাঠ্যক্রম ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর ফাউন্ডেশনাল স্টেজ ২০২২ (NCF-FS) অনুযায়ী, তিন থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের জ্ঞান, প্রাথমিক শিক্ষা, ভাষাজ্ঞান, আর্থ-সামাজিকব অবস্থা, সমাজের সাংস্কৃতিক দিক সহ উন্নয়নের সম্পর্কিত বিষয়গুলি শেখানো হবে।
- পাঠ্যক্রমের লক্ষ্য
পাঠ্যক্রমের লক্ষ্য হল, সারা দেশে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত করা। এই পাঠ্যক্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহ দেবে। ধারাবাহিক শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা করিয়ে, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে শিশুদের শেখানো হবে। এই মুহূর্তে সারা দেশে ১৩.৯ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে ছয় বছরের কম বয়সি শিশু আছে ৮ কোটিরও বেশি। তাদের প্রত্যেককেই এই পাঠক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
- অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ
শিশুদের শেখানোর প্রশিক্ষণ পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও। কীভাবে শিশুরা বড় হয়ে ওঠে এবং তাদের কীভাবে বিকাশ হয়, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশের গুরুত্ব এবং যত্নের প্রয়োজনীয়তা, সবটাই শেখানো হবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়েও মোট ৩৬ মাসের ট্রেনিং দেওয়া হবে।