Final semester exams schedule: স্নাতক-স্নাতকোত্তরে চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষায় ‘না’ উপাচার্য সংগঠনের

রাজ্যের পরামর্শ মতো ৮০-২০ শতাংশ নীতিতে মূল্যায়নের পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে।

স্নাতক-স্নাতকোত্তরে চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষার বিরোধিতায় উপাচার্য সংগঠন (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ বা সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। সেই মর্মে রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দেওয়া হবে। এমনটাই জানাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন।

গত ৬ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ইউজিসির তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফলাইন, অনলাইন বা দুটির সংশ্রিমণে পরীক্ষা দিতে হবে। সেখানেই আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব। ইতিমধ্যে সেই নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠিয়েছে বাংলা। 

বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৫ জুলাই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঙ্গে বৈঠক করবেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তারইমধ্যে শুক্রবার বৈঠকে বসে উপাচার্য পরিষদ। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে যে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মানবেন না তাঁরা। বৈঠকে রাজ্যের পরামর্শ মতো ৮০-২০ শতাংশ নীতিতে মূল্যায়নের পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। 

কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (আবুটা)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তথা অধ্যাপক গৌতম মাইতির বক্তব্য, আগামিদিনে করোনা পরিস্থিতি যে আরও উদ্বেগজনক হতে চলেছে, তা সাধারণ বুদ্ধিতেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ইউজিসির এরকম তুঘলকি সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের অসংখ্য পড়ুয়া।