মুর্শিদাবাদের খিদিরপুরের একটি স্কুলে সিট পড়েছিল উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীদের। আর সেখানেই এবার পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহারের অভিযোগ। পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় একাধিক পরীক্ষার্থী আপত্তিকর কিছু নিয়ে আসছে নাকি সেটা দেখার জন্য তল্লাশি করা হয়েছিল। আর সেখানেই ছাত্রীদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঠিক কী অভিযোগ ছাত্রীদের?
ছাত্রীদের একাংশের দাবি, নিয়ম অনুসারে পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগেই চেকিং করার নিয়ম রয়েছে। আর সেই চেকিংয়ের নাম করেই শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ছাত্রীদের একাংশে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপরই অভিভাবকরাও স্কুলের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এক ছাত্রীর দাবি, ম্যাডাম আমার গায়ে হাত দিলেন। আমার পায়জামার প্যাকেটে টাকা ছিল। সেটা ম্যামকে বলি। কিন্তু ম্যাম পায়জামার গিঁট খুলিয়ে টাকা দেখেছেন। ওখানে অনেক পুলিশ ছিল। সবাই ছিল। দাবি ছাত্রীর।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এইভাবে দেহ তল্লাশির নাম করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ মানতে চায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেটা দেখা যেতে পারে। যেরকম চেকিং চলছিল। সেরকমই হয়েছে। সেটাও যদি না করা হত তবে পরীক্ষা হলে এমনিতেই ঢুকতে দিতে হত।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে টুকলি রয়েছে কি না সেটা দেখার জন্যই শরীরের নানা স্থানে হাত দেওয়া হয়। এমনকী পুরুষ দিয়ে এই চেকিং করা হয়েছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। ছাত্রীর অভিভাবকদের দাবি, নিয়ম থাকলে চেকিং করা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে পুরুষদের দিয়ে কেন এসব করা হল? তবে এক ছাত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, শিক্ষিকাই তল্লাশি চালিয়েছেন।
এদিকে বুধবারের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্কুলের সামনে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। এদিকে এবার উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবেই কোনও কারচুপি না হয়, প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা না হয়, মোবাইল নিয়ে কেউ যাতে পরীক্ষার হলে ঢুকে না পড়েন সেটা দেখার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমনকী মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে একেবারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারপরেও কেউ কোনও ইলেকট্রনিক গেজেট নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকছেন কি না সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একেবারে কড়া ব্যবস্থা। আর সেখানেই উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ।