আগামী বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা 'জেইই (মেইন)' তুলনামূলক ভাবে 'সহজ' হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছরের পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সিলেবাসের চাপ কমতে চলেছে। শীঘ্রই আগামী বছরের পরীক্ষার জন্য পাঠ্যসূচি প্রকাশ করতে চলেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। জানা গিয়েছে, সিবিএসই, এনসিইআরটি-র মতো বোর্ড সম্প্রতি নবম থেকে দ্বাদশের সিলেবাস কমিয়েছে। এই আবহে এই বোর্ডগুলির পাঠ্যসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রবেশিকার সিলেবাসে রদবদল আনা হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে যে পড়ুয়ারা দ্বাদশ শ্রেণিতে আছেন, তারা ২০২০ সালে কোভিডকালে নবম শ্রেণিতে ছিলেন। সেই সময়ই বোর্ডের তরফে সিলেবাস কমানো হয়েছিল। যদিও কোভিডকালেও বিগত তিন বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার সিলেবাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। এই আবহে এনটিএ ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার সিং বলেন, 'আগামী সপ্তাহেই পরীক্ষার তথ্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরই সঙ্গে প্রকাশ করা হবে প্রবেশিকা পরীক্ষার সিলেবাস। পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের তারিখও প্রকাশ করা হবে সেই সময়।'
এদিক সুবোধ কুমার জানান, এবার রেজিস্ট্রেশনের তারিখের সঙ্গে ফলাফল প্রকাশের তারিখও জানিয়ে দেওয়া হবে। এনটিএ ডিরেক্টর জেনারেলের কথায়, 'পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনক্ষণের কথা ভেবে পড়ুয়ারা উদ্বিগ্ন থাকেন প্রতি বছরই। তাই পরীক্ষার্থীরা যাতে আর চিন্তায় না ভোগেন, তার জন্য ২০২৪ সাল থেকে রেজিস্ট্রেশনের তারিখ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হবে ফল প্রকাশের দিনক্ষণ।' এদিকে এনটিএ প্রধান জানান, আগেভাগে রেজিস্ট্রেশনের তারিখ ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে পড়ুয়ারা পরীক্ষার জন্যে আরও বেশি ভালো ভাবে তৈরি হতে পারবেন। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো ভরতি সংক্রান্ত পরিকল্পনাকরে রাখতে পারবে। এদিকে এনটিএ-র তরফে জানানো হয়, সব পরীক্ষার্থী যাতে তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি জায়গায় পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেই ভেবেই পরীক্ষা কেন্দ্র বরাদ্দ করা হবে।
এদিকে এর আগে জেইই-তে বসতে গেলে দ্বাদশে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ মার্কস থাকা আবশ্যক ছিল। তবে গত বছর নিয়ম বদলে গিয়েছে। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রথম ২৫ পার্সেন্টাইলের মধ্যে থাকলেই জেইই-তে বসার সুযোগ মিলবে। সেই ক্ষেত্রে দ্বাদশের মার্কস ৭৫ শতাংশের নীচে হলেও তা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফর্মেশন টেকনলজিস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজিস এবং অন্যান্য সরকার পরিচালিত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া যায়। ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাটি, কন্নড়, অসমীয়া, বাংলা, মালয়ালম, মারাঠি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু সহ ১৩টি ভাষায় পরিচালিত হয়ে থাকে।