সচিন তেন্ডুলকরের ১০০ সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড বিরাট কোহলি ভেঙে দিতে পারেন বলে বিশ্বাস অনেকের। তবে জেমস অ্যান্ডারসন যে শৃঙ্গ জয় করেছেন, সেখানে পৌঁছনো আর কোনও পেসারের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। একজন পেস বোলারের পক্ষে দুই দশক ধরে সর্বোচ্চ মঞ্চে বিচরণ করা কত কঠিন, সেটা হাড়ে হাড়ে বোঝেন অজি কিংবদন্তি। সেই কারণেই ম্যাকগ্রার দাবি, ভবিষ্যতে আর কোনও জোরে বোলারের পক্ষে সম্ভবত ৭০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া সম্ভব হবে না। অর্থাৎ, চিরস্থায়ী হয়ে থাকতে পারে অ্যান্ডারসনের নজির।
ভারতের বিরুদ্ধে ধরমশালা টেস্টের তৃতীয় দিনে কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে টেস্ট কেরিয়ারের ৭০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন অ্যান্ডারসন। মুথাইয়া মুরলিধরন ও শেন ওয়ার্নের পরে বিশ্বের তৃতীয় বোলার হিসেবে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। ওয়ার্ন ও মুরলি, উভয়েই কিংবদন্তি স্পিনার। সুতরাং, একমাত্র পেসার হিসবে ৭০০ টেস্ট উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছন জিমি।
পেস বোলারদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার নিরিখে অ্যান্ডারসনের ধারেকাছে কেউ নেই। জিমির পিছনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড, যিনি টেস্ট কেরিয়ারে ৬০৪টি উইকেট নিয়েছেন। অর্থাৎ, এখনই ব্রডের সঙ্গে অ্যান্ডারসনের ব্যবধান ৯৬টি উইকেটের। জিমি এখনও খেলা ছাড়েননি। সুতরাং, এই ব্যবধান আরও বাড়বে নিশ্চিত।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সব থেকে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়া পেসারদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা, যাঁর গলায় ব্রিটিশ তারকাকে নিয়ে সম্ভ্রম ঝরে পড়ে। ম্যাকগ্রা টেস্টে ৫৬৩টি উইকেট নিয়েছেন। বর্তমান পেসারদের মধ্যে অ্যান্ডারসনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। কিউয়ি তারকা টেস্টে এখনও পর্যন্ত ৩৭৯টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। অর্থাৎ, অ্যান্ডারসন সাউদির প্রায় দ্বিগুণ উইকেট নিয়েছেন। বাস্তবিকই ম্যাকগ্রার দাবি অমূলক নয় যে, ভবিষ্যতে আর কোনও পেসারের পক্ষে ৭০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া সম্ভব হবে না।
অ্যান্ডারসনের মাইলস্টোন প্রসঙ্গে ম্যাকগ্রা বলেন, ‘এক্কেবারে অবিশ্বাস্য কৃতিত্ব। ও এমন একটা মাত্রায় পৌঁছেছে, যা সম্ভবত আর কারও পক্ষে ছোঁয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া ৪১ বছর বয়সেও এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ওর অকাঙ্খা, ইচ্ছাশক্তি ও অনুপ্রেরণায় খামতি নেই। নিজেকে এখনও পেস বোলিংয়ের যন্ত্রণার মধ্যে ফেলার মানসিকতা রয়েছে। দিনের পর দিন সেই লক্ষ্যে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া, এককথায় অসাধারণ।’
ম্যাকগ্রা আরও বলেন, ‘৭০০ টেস্ট উইকেট মুখের কথা নয়। তবে ১৮০টি (আসলে ১৮৭) টেস্ট খেলা তার থেকেও বড় বিষয়। ২১ বছর ধরে খেলে চলেছে। একজন পেসারের পক্ষে এটা অকল্পনীয়।’