লো-স্কোরিং থ্রিলার বোধহয় একেই বলে। শুক্রবার যুব বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ও নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মধ্যে যে রকম ধুন্ধুমার লড়াই চলে, ক্রিকেটপ্রেমীদের গায়ে কাঁটা দেওয়াই স্বাভাবিক। শেষমেশ ১ উইকেটের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতে নেপালের যুব দল।
ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে ডি-গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে তাদের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা ৪০.১ ওভারে মাত্র ১৪৫ রানে অল-আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে গজনফর দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন। ২১ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন নাসির খান করে ৩১ রান। ৮৩ বলের রক্ষণাত্মক ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ফরিদুন করেন ২৯ রান। ৬৫ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন।
অর্থাৎ, লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাই আফগানিস্তানকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান। না হলে তারা একসময় ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। হাসান এইসাখিল ২০ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি আফগানিস্তানের ৫ জন ব্যাটার।
নেপালের আকাশ চাঁদ ৮ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১৭ রানে ২টি উইকেট নেন দীপেশ। ১টি করে উইকেট নেন গুলসান ঝা, সুবাস ভান্ডারী ও তিলক ভান্ডারি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেপালও নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। তারা শেষমেশ ৪৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ক্যাপ্টেন দেব খানাল লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৯ বলে ৫৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ বলে ২৭ রান করেন দীপক বোহারা।
অর্জুন কুমল ১০, আকাশ ত্রিপাঠী ১৬ ও সুবাস ভান্ডারী অপরাজিত ৯ রানের যোগদান রাখেন। বিপিন রাওয়াল ২, গুলসান ঝা ১, দীপক দামরে ৫, দীপেশ কান্দেল ৪ ও আকাশ চাঁদ ১ রান করেন।
আফগানিস্তানের ফরিদুন ২১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ ও নাসির খান। ম্যাচের সেরা হন নেপালের হয়ে ৫ উইকেট নেওয়া আকাশ চাঁদ।