নিজের অজান্তেই ছোট্ট একটা ভুল, তার এতবড় মাশুল দিতে হবে, সেটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি অ্যামেলিয়া কের। অ্যামেলিয়ার এমন ভুলের জন্যই তাঁর দলকে হারতে হয় বললে মোটেও ভুল বলা হয় না।
মঙ্গলবার চলতি উইমেন্স বিগ ব্যাশ লিগের ৪৯তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ব্রিসবেন হিট ও সিডনি সিক্সার্সের মহিলা দল। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ব্রিসবেন। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন অ্যামেলিয়া কের। তিনি ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া মিগনন ডু'প্রীজ ৪২, চার্লি নট ২৯, জেস জোনাসেন ১৯, গ্রেস হ্যারিস ২, জর্জিয়া রেডমাইন ৬ ও বেস হিথ ৭ রান করেন। সিডনির এলিস পেরি ৪০ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২০ রানে ২টি উইকেট নেন জেস কের।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সিডনি সিক্সার্স একসময় ৯ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৭৪ রান তোলে। দশম ওভারে বল করতে আসেন অ্যামেলিয়া কের। তাঁর ওভারের দ্বিতীয় বলে (৯.২ ওভারে) অ্যাশলেই গার্ডনার লং-অনে শট খেলে ধীরে-সুস্থে ১ রান সংগ্রহ করেন।
তবে এক্ষেত্রে ফিল্ডারের ছোঁড়া বল ধরার সময়েই ভুল করে বসেন অ্যামেলিয়া। বল ও হাত মোছার জন্য অনেক বোলারই নিজের কাছে ছোট তোয়ালে রাখেন। অ্যামেলিয়া বল করার পরেই সেই তোয়ালেতে হাত মুছতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে ফিল্ডারের ছোঁড়া বল ধরার সময় সেই তোয়ালে অ্যামেলিয়ার হাতেই থেকে যায়। তা তিনি ট্রাউজারে রেখে দেওয়ার সময় পাননি।
রান-আউট করার তাড়া ছিল না, বাড়তি রান বাঁচানোর তাগিদও ছিল না এক্ষেত্রে। তবে বল ধরার সময় হাতে তোয়ালে থাকায় আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ার পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান উপহার দেন ব্যাটিং দল সিডনি সিক্সার্সকে। আইসিসির নিয়মের ২৮.২.১.২ ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে যে, ফিল্ডিং করার সময় ক্রিকেটাররা পোশাকের সাহায্য নিতে পারবেন না।
সিডনি সিক্সার্স শেষমেশ শেষ ওভারের থ্রিলারে জিতে মাঠ ছাড়ে। ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৭ রান তুলে ম্যাচ জেতে তারা। অর্থাৎ, মোটে ১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে সিক্সার্স। এলিস পেরি ২০, সুজি বেটস ২৬, অ্যাশলেই গার্ডনার ৩৬, এরিন বার্নস ৩৫, মাথিলদা ২৮ ও ব্রাউন ২১ রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন ব্রিসবেনের জর্জিয়া ভল ও জেস জোনাসেন।