২০২৩ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারত মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। ২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে চলা সেই ম্যাচকে ঘিরে রয়েছে টানটান উত্তেজনা। গ্রুপ পর্বের পর আবার যদি দুই দলই সুপার ফোরের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে, তবে তারা সেই পর্বেও একে অপরের মুখোমুখি হবে। আবার দুই দল ফাইনালে উঠলে ফের তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলতে। মোদ্দা কথা, ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ একবার নয়, একাধিক বার হওয়ার সুযোগ থাকছে।
এশিয়া কাপে সম্ভবত তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহের প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। বুমরাহের সঙ্গে যোগ হবেন মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ। এতে ভারতের পেস আক্রমণ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বুমরাহ সম্প্রতি পিঠের চোট সারিয়ে দলে ফিরেছেন। এবং ১৮ অগস্ট আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতেও ফের ২২ গজে নামবেন। এদিকে শামি এবং সিরাজও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শেষ হওয়া ওয়ানডেতে অনুপস্থিত ছিলেন। তারা দলে ফিরলে ভারতের বোলিং অক্রমণ নিঃসন্দেহে আরও শক্তিশালী হবে।
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক অবশ্য ভারতের বোলিং আক্রমণ নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন। বরং তিনি ভারতীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলার বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তাঁর মতে, পাকিস্তানের পেস সেনসেশন - শাহিন শাহ আফ্রিদি, হরিস রউফ এবং নাসিম শাহের মতো বোলারদের তারা নেটে খেলে অভ্যস্ত তাই, ভারতের বোলিং আক্রমণ নিয়ে চিন্তিত নন।
সাংবাদিক সম্মেলনে শফিককে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘প্র্যাকটিস সেশনে আপনারা সব সময়ে নেটে হরিস, নাসিম, শাহিনের মুখোমুখি হন। যে কারণে প্রতিপক্ষের বোলারদের মোকাবিলা করাটা কি সহজ হয়ে যায়? বিশেষ করে যদি আপনি ভারতের কথা বলেন... যেহেতু মনে হচ্ছে জাসপ্রীত বুমরাহও এশিয়া কাপে ফিরে আসছেন!’
এই প্রশ্নের উত্তরে শফিক বলেছেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণ বেশ ভালো, আসলে বিশ্বের সেরা। আমরা নেটে শাহিন, হারিস, নাসিমদের মোকাবিলা করি… আমরা ওদের চ্যালেঞ্জিং স্পেলের মুখোমুখি হই। এবং এটি আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দেয় এবং আমাদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করে। আমরা যদি ওদের বিপক্ষে ভালো খেলি, আমরা অবশ্যই প্রতিপক্ষ বোলারদের বিরুদ্ধে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েই খেলব।’
ভারত এবং পাকিস্তান ২ সেপ্টেম্বর ক্যান্ডিতে এশিয়া কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে। তাদের গ্রুপের আরও একটি দল হল নেপাল। আর ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে এই দুই দল আবার আমদাবাদে ১৪ অক্টোবর মুখোমুখি হবে।