শুভব্রত মুখার্জি: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এশিয়া কাপ ট্রফি জিতেছে ভারত।দীর্ঘদিন বাদে তারা কোন বহুদেশীয় টু্র্নামেন্ট জিতেছে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে গোটা টু্র্নামেন্ট জুড়েই। পাকিস্তানকে একেবারে পর্যুদস্ত করেছে গ্রুপ পর্যায়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে কম রানের পুঁজি নিয়ে ও তারা দুরন্ত লড়াই চালিয়ে জিতেছে। ফাইনালে তো খড়কুটোর মতন উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা দলকে। মহম্মদ সিরাজের অনবদ্য পেস বোলিংয়ে নির্ভর করে ১০ উইকেটের বিরাট ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা। ফাইনাল জয়ের পর অনুষ্ঠান মঞ্চে ভারতীয় দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয় এসিসির তরফে। সেই ট্রফি সিরাজ নিজে হাতে না নিয়ে তুলে দেন সমর্থকদের কাছে একেবারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাতে! দলের ক্রিকেটার বা কোচ কোনটাই নন এই ব্যক্তি! তাহলে কে তিনি? কেনই বা তাঁর হাতে ট্রফি তুলে দিলেন মহম্মদ সিরাজ? আসুন জেনে নেওয়া যাক নেপথ্যের কাহিনী।
এশিয়া কাপ জয়ের পরে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের হাতে ট্রফিটি তুলে দেওয়া হয়। সেই ট্রফিই ফাইনাল জয়ের নায়ক মহম্মদ সিরাজ যার হাতে তুলে দিলেন তিনি ডি রাঘবেন্দ্র। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতি বড় সমর্থকও একনজরে হুট করে চিনে ফেলতে পারবেন না। ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে তিনি আদরের 'রঘু'। ভারতীয় ক্রিকেট দলের থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট তিনি। অর্থাৎ নেটে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের জোরে জোরে বল ছুঁড়ে তিনি ব্যাটিং অনুশীলন করান। দ্রুতগতির বল যাতে সহজে ভারতীয় ব্যাটাররা সামলাতে পারেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডি রাঘবেন্দ্র।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের বাসিন্দা তিনি। কর্ণাটক রাজ্যের কুমটার বাসিন্দা তিনি। ছোট থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তবে তাঁর হাতে অত্যন্ত খারাপ একটি চোট পান তিনি। যার ফলে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তাঁর পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই অন্যভাবে তাঁর ভালোবাসা ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতেই থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট হওয়ার পথটি বেছে নেন তিনি। প্রথমে কর্ণাটক রাজ্য অ্যাকাডেমিতে কাজ করা শুরু করেন তিনি। তারপরেই ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কাজ শুরু করেন ডি রাঘবেন্দ্র। সেখান থেকেই খুলে যায় ভারতীয় সিনিয়র দলের দরজা। এখন তিনি সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।