পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডেভিড ওয়ার্নারকে টেস্ট দলে রাখা নিয়ে বিষ উগড়ে দিয়েছিলেন তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ মিচেল জনসন। তিনি নজিরবিহীন আক্রমণ করেছিলেন ওয়ার্নারকে। তবে জনসনের আক্রমণের ক্ষতবিক্ষত হলেও, মুখে কোনও কথা বলেননি ওয়ার্নার, জবাবটা দিলেন ব্যাট হাতেই। পার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ঝকঝকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পাল্টা থাপ্পর মারলেন জনসনকে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই ২১১ বলে ১৬৪ রান করলেন ওয়ার্নার। এই ইনিংসটি সাজানো চারটি ছক্কা এবং ১৬টি চারে। ১২৬ বলে শতরান করেন ওয়ার্নার। আর সেঞ্চুরির পরেই পরিচিত ভঙ্গিতে দেন বিশাল লাফ। যে লাফটা শুধু শতরানের জন্য নয়, এই লাফে মিশে ছিল সমালোচনার যোগ্য উত্তরও। মুখে একটি শব্দ খরচ না করেও, ব্যাট হাতে নিন্দুকদের চুপ করিয়ে দিলেন তারকা অজি ওপেনার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া দলে ওয়ার্নারকে রাখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এটি তারকা ব্যাটারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজ হতে চলেছে। ওয়ার্নারের অনুরোধেই তাঁকে টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয়েছিল। আর এতেই ব্যাপক চটে যান ওয়ার্নারের এক সময়ের সতীর্থ মিচেল জনসন।
অস্ট্রেলিয়ার দল ঘোষণার পর তীব্র ভাষায় ওয়ার্নারকে আক্রমণ করে জনসন বলেছিলেন, ‘শেষ ৩৬ টেস্ট ইনিংসে ২৬ গড়ে ব্যাট করেছে ওয়ার্নার। এক জন ওপেনার যদি এত খারাপ ফর্মে থাকে তা হলে কেন তাকে খেলানো হবে। শুধুমাত্র বিদায়ী সিরিজ বলে। এর কোনও মানে হয় না। বেইলির সেটা বোঝা উচিত ছিল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, ফর্ম দেখে দল গড়া উচিত ছিল। গত পাঁচ বছরে ওয়ার্নার শুধুমাত্র বল বিকৃত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সম্মানহানি করেছে। আর সেই ক্রিকেটারকেই কিনা সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এটা হাস্যকর।’ বৃহস্পতিবার সেই সমালোচনারই জবাব ফিরিয়ে দিলেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে এটি তাঁর ২৬তম শতরান। সেই সঙ্গে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় জায়গা করেও নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। টেস্টে তাঁর সংগ্রহ এখন ৮,৬৫১ রান। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন রিকি পন্টিং। তাঁর টেস্টে মোট সংগ্রহ ১৩,৩৭৮ রান। এর পর রয়েছেন অ্যালান বর্ডার (১১,১৭৪), স্টিভ ওয়া (১০,৯২৭) এবং স্টিভ স্মিথ (৯,৬৫১)। এদিন ওয়ার্নার পিছনে ফেলেছেন, মাইকেল ক্লার্ক (৮,৬৪৩), ম্যাথিউ হেডেনকে (৮,৬২৫)। মার্ক ওয়া (৮,০২৯), জাস্টিন ল্যাঙ্গাররা (৭,৬৯৬) রয়েছেন এঁদের পরেই। ওয়ার্নারের হাত ধরেই প্রথম দিন অক্সিজেন পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।