Mishmee Das: ‘একটা পার্টনার চাই’, ব্রেকআপের পর সিঙ্গল জীবন বড্ড বোরিং, প্রেমিক খুঁজছেন মিশমি

Mishmee Das: বিশাল ভনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই একা মিশমি। একা একা আর থাকতে চান, দিদির সামনে তাই বিশেষ দরবার মিশমির।

‘একটা পার্টনার চাই’, ব্রেকআপের পর সিঙ্গল জীবন বড্ড বোরিং, সঙ্গী খুঁজছেন মিশমি (ছবি-ইনস্টাগ্রাম)

প্রেম কড়া নেড়েছিল তাঁর দরজায়। একটা সময় তো প্রেমিকের হাত ধরে গোয়াও পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে-সব এখন অতীত। ব্রেক আপের পর এখন পুরোপুরি সিঙ্গল মিশমি দাস। হালে অভিনেতা রণজয়ের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। যদিও পুরোটাই গুজব, স্পষ্ট করেছেন দুজনেই। এবার দিদির মঞ্চে হাজির হয়ে মিশমির একান্ত অনুরোধ- ‘আমার একটা পার্টনার চাই’।

এই মুহূর্তে জি বাংলারই ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে মিশমিকে। রচনার সামনে নিজের হতাশার কথা বললেন মিশমি। জানালেন, ‘আজকাল কোনও পার্টিতে গেলেই সবাই কপল, আমি একা সিঙ্গল! একটা পার্টনার চাই আমার’। আক্ষেপের সুর অভিনেত্রীর গলায়। যদিও মিশমির এই আক্ষেপ শুনে হাসি থামেনি রচনা, শ্রীতমাদের।

প্রেম নিয়ে খুব বেশি খোলামেলা না হলেও একটা সময় বিশাল ভনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা গোপন রাখেননি মিশমি। তবে ২০২৩-এর প্রেম দিবসের আগেই বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছিলেন, 'টাকার পিছনে, ভালোবাসার পিছনে ছুটে লাভ নেই।’ প্রেম ভাঙার কারণ স্পষ্ট না করলেও মিশমি বলেছিলেন, ‘একটা সময় প্রেম ছিল, এখন আর নেই। আমি সিঙ্গল। আমাদের জীবনে অনেক সময়ই অনেক সম্পর্ক ওয়ার্ক আউট করে না। তেমনটাই এটাও করেনি। অনেকক্ষেত্রে পরিস্থিতির এর জন্য দায়ী হয়, আবার অনেক সময় অনেক ভালোবাসা থাকলেও কম্প্যাটিবিলিটি থাকে না। এইটুকুই বলব’।

এখন নিজেকে ভালোবাসাতে শিখেছেন মিশমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই ‘সেলফ লাভ’-এর পাঠ দেন। সমাজমাধ্যমে বরাবরই বোল্ড মিশমি। বিকিনিতে ছবি দিতে পিছপা হন না। এর জন্য অনেক সময়ই বডি শেমিং-এর শিকার হন। তাতে অবশ্য কুছ পরোয়া নেই নায়িকার। 

২০১৪ সালে ‘রাজযোটক’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় হাতেখড়ি হয় মিশমি দাসের। পরবর্তীতে একাধিক মেগায় নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে অন্যতম ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’। অন্বেষা-ঋত্বিকের মাঝের তৃতীয় ব্যক্তি রিনি হিসাবে দাগ কেটেছিলেন মিশমি। 

ওদিকে ভোটপ্রচারের ব্যস্ততা সামলেও পুরোদমে দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন রচনা। সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী আয়েশা ভট্টাচার্য। তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ‘বোঝা যাচ্ছিল রচনাদি খুব ক্লান্ত, কিন্তু তাও যে এনার্জি নিয়ে কাজ করছে হাসিমুখে ওঁনার টেনাসিটিকে কুর্নিশ জানাই’।