Australia vs West Indies Gabba Test 1st Day: ব্রিসবেনের ‘দ্য গাব্বা’-তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচের প্রথম দিনটি উত্থান ও পতনে ভরা ছিল। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ১৬ রান করে ক্রিজে রয়েছেন কেভিন সিনক্লেয়ার।
দেখে নেওয়া যাক প্রথম দিনের খেলা-
এদিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার হতাশ করেছিলেন। এদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার হতাশ করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৪) এবং তেজনারায়ন চন্দ্রপল (২১) ভালো শুরু করতে ব্যর্থ হন। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে ২৫.২ ওভারে দলের প্রথম ৫ উইকেট মাত্র ৬৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়।
এরপর, কেভেম হজ (৭১) এবং জোশুয়া দা সিলভা (৭৯) ধৈর্য দেখিয়ে ক্যাঙ্গারু বোলারদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন এবং স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যান। হজ তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেন। হজ তাঁর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন। ক্রমাগত উইকেট পতনের মধ্যে ৩০ বছর বয়সি ডানহাতি ব্যাটসম্যান একটি সংগ্রামী ইনিংস খেলেন। ১৯৪ বলে ৭১ রান করে আউট হন তিনি। এছাড়াও তিনি তার ইনিংসে ৮টি চার এবং ১টি দুর্দান্ত ছক্কা মারেন। এখন ৩ ইনিংসে তার মোট রান ৮৬। অ্যাডিলেডে খেলা প্রথম টেস্টে অভিষেক হয় হজের।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন জোশুয়া। দলের স্কোর যখন ৬৪ রান ছিল তখন জাস্টিন গ্রিভস (৬) আউট হন। এর পরে জোশুয়া ব্যাট করতে আসেন এবং সংযম ব্যাটিং করে দলকে সমর্থন করেন। এই সময়ে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের চতুর্থ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১৫৭ বলে ৭৯ রান করে নাথান লিয়নের শিকার হন তিনি। তার ইনিংসে সাতটি দুর্দান্ত চারও মারেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে হজের সঙ্গে ১৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।
এদিন মিচেল স্টার্ক টেস্টে ৩৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন। মিচেল স্টার্ক প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্বও অর্জন করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে পূর্ণ করেছেন ৩৫০ উইকেট। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান অলিক আথানাজের (৮) উইকেট নিয়ে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান এবং ২৭ তম সামগ্রিক খেলোয়াড় হয়েছেন। ক্যাঙ্গারু বোলারদের মধ্যে তিনি শেন ওয়ার্ন (৭০৮), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩), নাথান লিয়ন (৫১২) এবং ডেনিস লিলির (৩৫৫) পিছনে রয়েছেন।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার সব বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন। শুরুতে ক্যারিবিয়ান দলকে ৫টি ধাক্কা দেন তাঁরা। কিন্তু হজ এবং জোশুয়া ক্রিজে থিতু হওয়ার পর তাদের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে দিনের শেষ সেশনে বোলাররা প্রত্যাবর্তন করে আরও ৩ উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ছাড়াও ক্যাঙ্গারু দলের হয়ে জোশ হেজেলউড ২টি এবং প্যাট কামিন্স ও লিয়ন ১টি করে উইকেট নেন।