শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেট বিশ্বে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতীয় বোর্ড যে সবথেকে ধনী বোর্ড তা কারুর অজানা নয়। আইপিএল করে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে বিসিসিআই প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জন করে। বিসিসিআইয়ের উপার্জন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে গত পাঁচ বছরে তাদের কাছে সঞ্চিত হয়েছে উদ্বৃত্ত অর্থ! যার পরিমাণ শুনলে চোখ আপনার কপালে উঠতে বাধ্য। সম্প্রতি পার্লামেন্টে ভারত সরকারের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে জানা গিয়েছে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে শেষ পাঁচ বছরে উদ্বৃত্ত অর্থ রয়েছে ১৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১৭হাজার কোটি টাকা।
বিসিসিআই সাধারণত তাঁর আর্থিক দিকটি সচরাচর জনসমক্ষে আনে না। তবে এবার তা সকলের সামনে চলে এল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কতটা ধনী, সেটা জানা গেল এবার। ভারতের সংসদে অর্থাৎ লোকসভায় কাল বিসিসিআইয়ের সম্পদের একটি হিসেব পেশ হয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে এই ছবিটা সামনে উঠে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭-১৮-২০২১-২২ পর্যন্ত অর্থাৎ এই পাঁচ বছরে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে ১.৫ বিলিয়ন অর্থা ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। বিসিসিআইয়ের আয় আরও বাড়তে পারে। কারণ সম্প্রচার স্বত্বের আয় আরও বাড়তে পারে বিসিসিআইয়ের। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য সম্প্রচারের জন্য ফের দরপত্র আহ্বান করেছে বোর্ড।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী লোকসভায় বিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের খবরটি দিয়েছেন। জানা গেছে পাঁচ বছরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ৩৩০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা আয় করে। ওই সময়ে ব্যয় হয়েছে ১৮০ কোটি ডলার (প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা)। যার অর্থ পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল বিসিসিআইয়ের কোষাগারে। এখানেও আবার ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৪.৯ কোটি ডলার (প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা) লাভ করেছে বিসিসিআই। ওই এক বছরে ১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা আয়কর ও দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রসঙ্গত আইসিসির নতুন আর্থিক কাঠামোতে ২০২৪-২৭ সালের চক্রে প্রতিবছর ২৩ কোটি ডলার করে পাবে বিসিসিআই, যা আইসিসির মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ। অন্য কোনও বোর্ড ১০ শতাংশও পাচ্ছে না। উল্লেখ্য ২০২২ সালের আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেই ৬২০ কোটি ডলার আয় করেছিল বিসিসিআই।