পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম বাইশ গজে তাঁর শান্ত স্বভাবের জন্য পরিচিত। ভক্তরা ক্রিকেট মাঠে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ স্টাইল দেখতে পান। তাঁকে ক্রিকেট মাঠে খুব কমই রাগ করতে দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব হারানো এবং ২০২৩ সালে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ভক্তদের ও সমালোচকদের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। তবে তার পরেও বা তাঁর সঙ্গে এমনটা হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তানের তারকা খেলোয়াড়কে কখনও রাগতে দেখা যায়নি।
কিন্তু হঠাৎ করেই নিজের মেজাজ হারালেন বাবর আজম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৪-এর একটি ম্যাচ চলাকালীন, বাবর আজমকে মেজাজ হারিয়ে ফেলতে দেখা গিয়েছে। প্রতিপক্ষ দলের উইকেটরক্ষকের ওপর ভীষণ রাগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ভাইরাল হয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৪-এ দুরন্ত ঢাকা (ঢাকা ডমিনেটার্স) বনাম রংপুর রাইডার্স ম্যাচে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ম্যাচ চলার সময় ভক্তরা বাবর আজমের রাগের আভাস পেয়েছিলেন। এই ম্যাচে বাবর আজম রংপুর রাইডার্সের হয়ে প্রথমে ব্যাট করতে গিয়ে ১৩তম ওভারে নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এবং এরপরে তিনি প্রতিপক্ষ দলের উইকেটরক্ষকের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি করেন। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ব্যাট করার সময় মহম্মদ নবির সঙ্গে বাবরকে দুরন্ত ঢাকার উইকেটরক্ষক ইরফান সুক্কুরের উপর বেশ চিৎকার করতে দেখা গিয়েছে। একটা সময়ে আম্পায়ারকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটেছিল ম্যাচের ১৩তম ওভারে। এই সময়ে বাবর আজম রেগে যান এবং সুক্কুরের উপর রেগে যান। এরপরে নবিও বাবরের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। শেষ পর্যন্ত আম্পায়র হস্তক্ষেপ করেন। এই সময়ে ৩১ বলে ৩৭ রান করেছিলেন বাবর আজম। জানি গিয়েছে সেই সময়ে সুক্কুর বারবার বাবর আজমকে বলছিলেন যে তিনি টেস্ট নয়, তিনি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে এসেছেন। এতেই নাকি তিনি রেগে যান। এবং শেষে সুক্কুরকে বলেন, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলছি না।
মনে করা হচ্ছে সুক্কুর বাবরকে বারবার প্ররোচিত করেছিলেন বলেই পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক চটে যান। বিষয়টি বাড়তে দেখে আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং বিষয়টি শান্ত করতে হয়। ম্যাচের কথা বলতে গেলে বাবর আজমের হাফ সেঞ্চুরির ভিত্তিতে প্রথমে ব্যাট করা রংপুর রাইডার্স দল আট উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান তুলতে সফল হয়। এই স্কোরের সামনে দুরন্ত ঢাকার পুরো দল মাত্র ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় এবং রংপুর ৭৯ রানে ম্যাচ জিতে নেয়। ম্যাচের সেরা হন বাবর আজম। তিনি ৪৬ বলে ৬২ রান করেন।