বে ওভালের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত একতরফাভাবে পরাজিত করে নিউজিল্যান্ড। তবে হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় টেস্টে কিউয়িদের কড়া টক্কর দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছোটখাটো লিড নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ঝুলিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে বলাই যায় যে, তৃতীয় দিনের শেষে ম্যাচে লড়াই চলছে সেয়ানে-সেয়ানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪২ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২১১ রানে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩১ রানে এগিয়ে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে ২৩৫ রানে। ডেভিড বেডিংহ্যামের দুরন্ত শতরানের সুবাদেই লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে আউট হওয়া বেডিংহ্যাম দ্বিতীয় ইনিংসে ১১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১৪১ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া কিগান পিটারসেন ৪৩ ও ক্যাপ্টেন নেইল ব্র্যান্ড ৩৪ রানের যোগদান রাখেন। পিটারসেন ৭৯ বলের ইনিংসে ৬টি চার মারেন। ৬০ বলের ইনিংসে ৬টি চার মারেন ব্র্যান্ড।
ক্লাইড ফরচুইন ৩, ভ্যান টোন্ডার ১, জুবাইর হামজা ১৭, রুয়ান ১, শন ভন বার্গ ২, ডেন পিয়েডট ২ ও ডেন পিটারসন ৭ রানের যোগদান রাখেন। নিউজিল্যান্ডের অভিষেককারী পেসার উইলিয়াম ও'রোর্ক প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৪ রান খরচ করে ৫টি উইকেট দখল করেন। অর্থাৎ, অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট নেন ও'রোর্ক।
দ্বিতীয় ইনিংসে গ্লেন ফিলিপস ২টি উইকেট নেন। রাচিন রবীন্দ্র, নেইল ওয়াগনার ও ম্যাট হেনরি ১টি করে উইকেট দখল করেন। উইকেট পাননি ক্যাপ্টেন টিম সাউদি।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৬৭ রানের। কিউয়িরা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে। সুতরাং, ম্যাচের দু'দিন বাকি থাকতে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার আরও ২২৭ রান। জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলে নিতে হবে ৯টি উইকেট।
ডেভন কনওয়ে ১৭ রান করে আউট হন। ২১ রানে নট-আউট থাকেন টম লাথাম। প্রোটিয়াদের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন ডেন পিয়েডট।