ওরা একটু বেশি দূরই ভেবে ফেলেছিল- ৬০-৭০ ওভারে ৫০০ বা ৬০০ রান করা নিয়ে অ্যান্ডারসনের দাবিকে কটাক্ষ অশ্বিনের

ভাইজ্যাগ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, ভারত যদি ৫০০ বা ৬০০ রানেরও লক্ষ্য দিত, তবে ইংল্যান্ড ৬০-৭০ ওভারের মধ্যে সেই রান করে দিত। আর সেই প্রসঙ্গ টেনে এবার ইংল্যান্ডের তারকা পেসারকে কটাক্ষ করলেন অশ্বিন।

জেমস অ্যান্ডারসনকে কটাক্ষ করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

হায়দরাবাদে প্রথম টেস্ট জয়ের পর ইংল্যান্ড যেন ফুটছিল। বাড়তি আত্মবিশ্বাসী জেমস অ্যান্ডারসন ভাইজ্যাগ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, ভারত যদি ৫০০ বা ৬০০ রানেরও লক্ষ্য দিত, তবে ইংল্যান্ড ৬০-৭০ ওভারের মধ্যে সেই রান করে দিত।

জিমি দাবি করেছিলেন, ‘ভারত যদি ৬০০ রানও করে, তবে আমরা সেই লক্ষ্যেও পৌঁছব। আমরা লড়াই করার চেষ্টা করব। আমি জানি খেলায় এখনও ১৮০ ওভার বাকি আছে, তবে আমরা ৬০ বা ৭০ ওভারের মধ্যে এই রানটা তোলার চেষ্টা করব।’

সেই টেস্টে জেতার জন্য ৩৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ল্যাজেবোবরে হয়। ১০৬ রানে ইংল্যান্ড সেই টেস্ট হেরে বসে থাকে। ভাইজ্যাগেই সিরিজ ১-১ টাই হয়। এর পর ইংল্যান্ড বাকি তিন টেস্টেও হেরেছে। তারা ৪-১ পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরেছে ভারতের কাছে।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন সোমবার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে অ্যান্ডারসনের সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে বলেছেন যে, ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার সেই সময়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, তিনি ভেবেছিলেন, অনেকটা পথ এগিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

অশ্বিন দাবি করেছেন, ‘প্রথম টেস্ট ভালো ভাবে জিতে জেমস অ্যান্ডারসন দ্বিতীয় টেস্টে সংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়েছিলেন। নিঃন্দেহে প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য ওদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, চতুর্থ ইনিংসের টার্গেট ৫০০ বা ৬০০ হলেও আমরা ৬০ ওভারে তা পূরণ করব। যদিও এটি তাদের ইতিবাচক মানসিকতার একটি উদাহরণ ছিল, তারা মনে করেছিল, অনেকটা দূরে চলে গিয়েছে।’

ইংল্যান্ডের ব্যাজবলের মুখে চুনকালি মাখিয়ে ভারত ৪-১ টেস্ট সিরিজ জিতে যায়। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন এবং নাসের হুসেন এই পদ্ধতিতে খেলার জন্য বেন স্টোকসদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অশ্বিনও ব্যাজবল নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, ব্যাজবল একেবারেই সুরক্ষিত নয়।

৩৭ বছর বয়সী তারকা বলেছেন যে, ‘প্রথম টেস্টের পর একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি যে, ব্যাজবল শুধু আক্রমণাত্মক ক্রিকেট নয়, এটি অরক্ষিত ক্রিকেট। ইংল্যান্ড মোটেও রক্ষণাত্মক শট খেলেনি। ডিফেন্সিভ খেলতে গেলেই আউট হয়ে যাবে ওরা। আমার আশ্চর্য লেগেছে, জো রুটও ওদের গেম প্ল্যানে রাজি হয়েছে। কারণ আপনি যদি বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ডিফেন্সিভ প্লেয়ারের র‌্যাঙ্কিং বানান, তাহলে স্পিনের বিরুদ্ধে রুট সেই তালিকায় সহজেই এক নম্বরে জায়গা করে নেবে। তবে ও নিজেও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলেছে।’