শুধু কলকাতা নাইট রাইডার্সেরই নয়, বরং আইপিএলের ইতিহাসের সব থেকে দামি ক্রিকেটার। প্রায় ২৫ কোটি (২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ) টাকা দিয়ে কোনও বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছ থেকে বিপুল প্রত্যাশা থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজির। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ মিচেল স্টার্ক।
শুধু বিপুল টাকায় দলে নেওয়া হয়েছে বলেই নয়, বরং স্টার্কের মানের বিদেশি পেসারের ঝুলিতে যে রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাতে তাঁর কাছ থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স আশা করা নিতান্ত স্বাভাবিক। চলতি আইপিএলে স্টার্ক এখনও পর্যন্ত চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স উপহার দিতে পারেননি। বরং তাঁর ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখলে সমর্থকদের হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।
স্টার্ক আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম চার ম্যাচে মাঠে নেমে মোটে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি সাকুল্যে ১৪ ওভার বল করে খরচ করেছেন ১৫৪ রান। অর্থাৎ, ওভার প্রতি ১১ রান করে খরচ করেছেন স্টার্ক। একাধিক ম্যাচে বল করা নাইট তারকাদের মধ্যে স্টার্কের ইকনমি-রেট সব থেকে খারাপ। সব থেকে বেশি টাকা দিয়ে যাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে, তিনি যদি সব থেকে খরুচে বোলিং করেন, সমর্থকদের হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন:- স্পটলাইটে ৭ জন, ভারতের T20 বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতে পারেন কোন কোন ঘরোয়া ব্যাটার?
যদিও নাইট মেন্টর গৌতম গম্ভীরের কথায় স্পষ্ট বোঝা গেল যে, স্টার্কের পারফর্ম্যান্সে এখনও হতাশায় ডুব দেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। বরং অজি তারকার উপরে আস্থা অটুট নাইট রাইডার্সের। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে স্টার্কের পাশে দাঁড়ালেন গম্ভীর।
তিনি স্পষ্ট জানান যে, ৪টি ম্যাচে পারফর্ম্যান্স ভালো না করলে কেউ খারাপ বোলার হয়ে যান না। ঠিক তেমনই গোটাচারেক ম্যাচে কেউ ভালো বল করতে মহান বোলারে পরিণত হন না। গম্ভীর এক্ষেত্রে দলগত পারফর্ম্যান্সকে স্টার্কের ব্যর্থতা ঢাকতে ঢাল বানাতে চাইলেন। তাঁর দাবি, দল চারটির মধ্যে ৩টি ম্যাচ জিতলে সার্বিক পারফর্ম্যান্সে খুশি হওয়াই স্বাভাবিক। কেননা ব্যক্তিগতভাবে ভালো-খারাপ দিন সবার যায়।
গম্ভীর বলেন, ‘আমরা চারটির মধ্যে তিনটি ম্যাচ জিতেছি। কেন সবার পারফর্ম্যান্সে খুশি হব না! দেখুন, মানুষের ভালো সময় যায় আবার খারাপ সময়ও যায়। আসল কথা হল দলের জয়। সেদিক থেকে দেখলে আমারা প্রথম চার ম্যাচে ভালো ফল করতে পেরেছি। তাছাড়া আমরা জানি যে, মিচেল স্টার্ক কতটা ভয়ঙ্কর বোলার। চারটি ম্যাচে খারাপ খেললে খেউ বাজে বোলার হয়ে যায় না, ঠিক যেমন চারটি ম্যাচে ভালো খেললে কেউ মহান বোলার হয়ে যায় না। ও ম্যাচে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা সবাই জানি। দলগত খেলায় ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স নিয়ে মাথা ঘামালে চলে না। হয়ত কালকেই ওর দিনটা ভালো যেতে পারে অথবা সামনের ম্যাচগুলিতেই ওকে সেরা ছন্দে দেখা যেতে পারে।’