ভারতীয় দলের জার্সিতে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ২০২২ সালের অগস্টে। হারারেতে, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে। তার পর ফের আর এক অগস্ট। এটা ২০২৩ সালের। মাঝে একটা বছর পার হয়ে গিয়েছে। অবশেষে চোট মুক্ত হয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন প্রসিধ কৃষ্ণ।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন প্রসিধ। আর আসন্ন আয়ারল্যান্ড সফরের আগে তার প্রস্তুতিতেই কর্নাটকের স্থানীয় ক্রিকেটে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রস্তুতির জন্য ভারতের ফাস্ট বোলার প্রসিধ কৃষ্ণ রবিবার বেঙ্গালুরুতে কেএসসিএ মহারাজা ট্রফি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেছেন। রবিবার হুবলি টাইগারদের বিরুদ্ধে মাইসুরু ওয়ারিয়র্সের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। আর এই ম্যাচেই নিজের পূর্ণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন প্রসিধ। যা দেখে আশ্বস্ত হবে টিম ইন্ডিয়ার ভক্তরাও।
আরও পড়ুন: বাড়তি পরীক্ষানিরীক্ষা, ব্যাটিং ব্যর্থতা, অভিজ্ঞতার অভাব- ভারতের হারের হাফডজন কারণ
অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ সহ ভারতীয় দল ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসেই আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। সেই দলের সদস্য প্রসিধ কৃষ্ণও। আর আয়ারল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার আগে প্রসিধ নিজের স্পেলের তীব্রতা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি পুরো তৈরি। ভারত ১৮, ২০ এবং ২৩ অগস্ট ডাবলিনের মালাহাইডে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
কেএসসিএ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকেই জাতীয় দলে ফিরে আসার প্রস্তুতি মঞ্চ বানিয়েছেন প্রসিধ। সেই টুর্নামেন্টে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। রবিবার নিজের উচ্চ গতি বজায় রেখে দুই ওভার বল করেছেন তিনি। ১৩ রান দিয়ে এক উইকেটও তিনি তুলে নিয়েছেন। বল করার সময়ে প্রসিধকে আত্মবিশ্বাসী লেগেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে হবে- অতিরিক্ত পরীক্ষাই ডুবিয়েছে ভারতকে, স্বীকার করলেন দ্রাবিড়
এই বছরের শুরুতে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হওয়ায় দীর্ঘদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল ২৭ বছরের। গোটা আইপিএল মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাঁকে। প্রসিধকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে। অস্ত্রোপচারের সময় মনে করা হয়েছিল যে, ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে হয়তো মাঠে ফেরা হবে না ডানহাতি পেসারের। তবে তার আগেই ফিট হয়ে উঠেছেন প্রসিধ।
প্রসিধ এর আগে বলছেন, ‘এক বছর মাঠের বাইরে কাটানোটা ভীষণ কঠিন। তবে আমি ভাগ্যবান যে, কঠিন এই সময়ে দারুণ কিছু মানুষ চারপাশে ছিলেন। যাঁরা আমার রিহ্যাব, ট্রেনিং, বোলিং – সব কিছুর খেয়াল রেখেছেন। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দারুণ প্রস্তুতি হয়েছে। আমি আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে মাঠে ফিরব – এই ধারণাটাই আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে।’