তিরুবনন্তপুরমে ইতিহাস গড়লেন যশস্বী জসওয়াল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সর্বকালীন একটি নজির গড়েন তিনি। বিরল কৃতিত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে পিছনে ফেলে দেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ওপেনার।
রবিবার গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে মাত্র ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন যশস্বী। এমনটা নয় যে, ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এর থেকে কম বলে আর কেউ অর্ধশতরান করতে পারেননি। বরং যশস্বীর থেকে অর্ধেক বলে (১২ বলে) হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে যুবরাজ সিংয়ের। তবে অন্য একটি ক্ষেত্রে জসওয়াল বাকিদের টেক্কা দেন।
রবিবার অজিদের বিরুদ্ধে যশস্বী ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। অর্থাৎ, পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই তিনি হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের মধ্যে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করা তৃতীয় ভারতীয় ক্রিকেটারে পরিণত হন যশস্বী। তাঁর আগে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। তবে পাওয়ার প্লে-তে সব থেকে বেশি ব্যক্তিগত রান সংগ্রহ করা ভারতীয় ক্রিকেটারদের তালিকায় সবার আগে জায়গা করে নেন যশস্বী।
আরও পড়ুন:- 4, 4, 4, 6, 6, 0: শন অ্যাবটকে এক ওভারেই চোখে সর্ষেফুল দেখালেন যশস্বী- ভিডিয়ো
জসওয়াল ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকান। যদিও হাফ-সেঞ্চুরি করার পরেই আউট হয়ে বসেন জসওয়াল। ইনিংসের ৫.৫ ওভারে ন্যাথন এলিসের বলে অ্যাডাম জাম্পার হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৫৩ রানে অনবদ্য ইনিংস খেলেন যশস্বী।
জসওয়ালের ৫৩-ই আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের পাওয়ার প্লে-তে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের সংগ্রহ করা সব থেকে বেশি রান। তিনি টপকে যান রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে। রোহিত ও লোকেশ উভয়েই পাওয়ার প্লে-তে ৫০ রান করে সংগ্রহ করেছিলেন।
রোহিত শর্মা ২০২০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ৫০ রান করেন। লোকেশ রাহুল স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ৫০ রান করে আউট হন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এমন ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলার পথে শন অ্যাবটের এক ওভারে পরপর ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন যশস্বী। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৫ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। যশস্বী ছাড়াও এই ম্যাচে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ইশান কিষান।