সম্প্রতি জো রুটের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে তাঁর শট নির্বাচন নিয়ে। রাজকোটে তৃতীয় টেস্টে আবার জসপ্রীত বুমরাহের বলে রিভার্স-স্কুপ মারার চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন রুট। তার পর থেকে সেই সমালোচনা যেন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা তো জো রুটের শট নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উগরাচ্ছেন। একটি ব্রিটিশ দৈনিকের একজন লেখক বুমরাহের বলে মারা রিভার্স- স্কুপ শটটিকে ‘ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ, সবচেয়ে বোকা শট’ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই ম্যাচে রুটের আউট হওয়ার পরেই খেলার রং বদলে গিয়েছিল। রুট অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন যে তাঁর শট নির্বাচন নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই।
স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট পডকাস্টে একটি কথোপকথনে রুট বলেছেন, ‘এই সিরিজে আমি কী ভাবে আউট হচ্ছি এবং আমার জন্য কী সেরা, তা নিয়ে লোকেদের নিজস্ব মতামত থাকবেই। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতেই আমি যে ভাবে সেরা মনে করছি, সেভাবে খেলা চালিয়ে যেতে যাই। আমার নিজের খেলা সম্পর্কে যতটা ভালো জানি, ততটা ভালো অন্য কেউ জানে না। আমি যেখানে পৌঁছতে পেরেছি, তার কারণ হল, আমি সব সময়ে ভালো খেলার, উন্নতি করার এবং বিকশিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি।’
ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের আগে রুট একেবারেই ফর্মে ছিলেন না। তাঁর গড় ছিল মাত্র ১২.৮৩। তবে রাঁচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন জো রুট। তবে ব্যাজবল ক্রিকেট খেলে নয়। নিজের স্টাইলে টেস্ট ক্রিকেট খেলেই। তিনি ২৭৪ বলে ১২২ রান করেন। তবে রাঁচি টেস্টেও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড।
জো রুট আরও বলেছেন, ‘আমার নিজের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ পর্যন্ত আমি যে রকম পারফরম্যান্স করতে চেয়েছি, তা পারিনি। আমি রানের ঘাটতি অনুভব করেছি, আমার মনে হয়েছে আমি অবদান রাখতে পারিনি। ভারত এমন একটি জায়গা, যেখানে আমি ব্যাটিং করতে পছন্দ করি এবং এখানে আমি আগে খেলে সাফল্যও পেয়েছি। আমি শুধু আমার সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। আমি সেই পরিস্থিতি এবং সেখানকার অবস্থা (রাঁচিতে) দেখেছি, এবং এর জন্য উজ্জ্বল কিছুর প্রয়োজন ছিল না। এটির জন্য এমন একজনের প্রয়োজন, যে পুরো ইনিংস জুড়ে অবিচল থাকতে পারবে। নিজেকে সংযত রেখে উইকেটে টিকে থাকতে হত।’