শুভব্রত মুখার্জি:- দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতের টেস্ট সিরিজ জয় এখনও অধরা থেকে গিয়েছে। যদিও শেষ টেস্ট সিরিজ ভারতীয় দল ড্র করে ফিরেছে। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিয়নে বাজেভাবে হারতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এক ইনিংস এবং ৩২ রানে হেরে যায় ভারত। সেখান থেকে ভারত ঘুরে দাঁড়ায়। কেপটাউন টেস্টে ভারত মাত্র দেড় দিনের মধ্যে জিতে যায়। ভারতের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তিনি প্রথম টেস্টে যদিও খেলার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় টেস্টে মুকেশ কুমার দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসেই দুটি করে উইকেট নেন। আর দেশে ফিরে কেপটাউন টেস্টে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়েই তাঁর সোজাসাপ্টা বক্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার ২২ গজে লেন্থ ছোট করেই এসেছে সাফল্য।
কেপটাউন টেস্টে এডেন মার্করাম, ডিন এলগারদের বিরুদ্ধে তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে বলতে গিয়ে মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, 'ভারতের ২২ গজের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকার ২২ গজের পার্থক্য রয়েছে। ভারতের ২২ গজে ফুল লেন্থে বল করলে বল অনেক বেশি সুইং করে। হাওয়ায় নড়াচড়া করে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে বল উপরের দিকে করলে ব্যাটাররা খুব সহজেই সেই বলে বাউন্ডারি মারতে পারে। ফলে আমাদের টিম মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ৬-৮ মিটার লেন্থে বোলিং করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে আমরা খাটো লেন্থে বল করার সিদ্ধান্ত নিই। লেন্থ ছোট করেই আসে সাফল্য। পিচে যেহেতু বাউন্স ছিল ফলে আমরা ব্যাক অফ দ্য লেন্থে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
ছোট লেন্থে বল করার সিদ্ধান্তেই এসেছে সাফল্য বলে নিশ্চিত করেছেন মুকেশ কুমার। বাংলার এই পেসার আরও যোগ করেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে সাফল্য পেতে গেলে আপনাকে আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। আর সেই পরিকল্পনা মাফিক বোলিং করলেই আসবে সাফল্য। পিচের অতিরিক্ত বাউন্স এবং সুইং দেখে সেই পরিকল্পনা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। আমাকে যেভাবে বল করার কথা টিম ম্যানেজমেন্ট বলেছিল আমি ঠিক সেইভাবেই বল করে সাফল্য পেয়েছি। আশা করি টিম ম্যানেজমেন্ট আমার পারফরম্যান্সে খুশি। আমি নিজের ভূমিকা ঠিক করে পালন করতে পেরেছি বলেই মনে করি। কেপটাউন টেস্টে আমি নিজের বোলিং নিয়ে খুশি। মাঠে নেমে আমার দেশের হয়ে সেরাটা উজাড় করে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। রোহিত ভাই আমাকে খুব সাহায্য করেছে। কোন জায়গায় বোলিং করতে হবে সেটা আমাকে বলে দিয়েছে। রোহিত ভাই আমাকে বলেছিল নির্দিষ্ট লাইন এবং লেন্থে টানা বোলিং করে গেলে ব্যাটাররা সমস্যাতে পড়বেই।'