চলতি আইপিএল-এর ৩৪ তম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ম্যাচ। এই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন CSK-র রবীন্দ্র জাদেজা, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও মইন আলি। তবে লখনউয়ের হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করে দলের জয়কে সহজ করেছিলেন লখনউয়ের অধিনায়ক কেএল রাহুল। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ উইকেটে হারায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৯ ওভারেই লক্ষ্য অর্জন করে ম্য়াচ জেতে লখনউ।
দুই দলের কী কী পরিবর্তন হয়েছিল?
এই ম্যাচে দুই দলই তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে পরিবর্তন এনেছিল। লখনউ শামার জোসেফের জায়গায় ম্যাট হেনরিকে মাঠে নামিয়েছিল। একই সঙ্গে শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় দীপক চাহার এবং ড্যারেল মিচেলের জায়গায় মইন আলিকে নিয়ে চেন্নাই দুটি পরিবর্তন করেছিল।
কে জিতেছিল টস?
এই ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসটি কেমন ছিল?
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ওপেন করতে নামেন রচিন রবীন্দ্র ও অজিঙ্কা রাহানে। দ্বিতীয় ওভারে রচিন রবীন্দ্রকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান মহসিন খান। এর পর দৃষ্টি স্থির করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ঠাকুরের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর নবম ওভারের প্রথম বলেই ভালো ব্যাটিং করা রাহানেকে বোল্ড করেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। অজিঙ্কা রাহানে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর মার্কাস স্টইনিসের বলে বড় শট মারতে গিয়ে মাত্র তিন রান করে আউট হন শিবম দুবে। আট বল মোকাবেলা করেন তিনি। এরপর সমীর রিজভীও বড় কোনও কৃতিত্ব করতে পারেননি। এগিয়ে গিয়ে শট মারতে গিয়ে ক্রুণাল পান্ডিয়ার শিকার হন তিনি। এর পর আসা মইন আলি স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করলেও রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন। ২০ বলে ৩০ রান করেন তিনি। পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। যাইহোক, ভক্তদের জন্য আসল মজা এসেছিল যখন এমএস ধোনি মাঠে নামেন। ধোনি আসার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়াম গর্জে ওঠে। মাত্র নয় বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন তিনি। এই সময় ধোনিও মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। এর সুবাদে চেন্নাই ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে এবং লখনউকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় CSK.
কেমন ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস?
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল লখনউ। পাওয়ারপ্লেতে লখনউ দল উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান তোলে। কুইন্টন ডি'কক এবং কেএল রাহুল তাদের দায়িত্ব পালন করেন এবং কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দলের স্কোর বজায় রাখেন। দুজনেই প্রথম উইকেট জুটিতে একশোর বেশি রান যোগ করেন। এ সময় কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডি'কক দুজনেই নিজেদের হাফ সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন। ১৪.৬ ওভারে ৪৩ বলে ৫৪ রান করে মুস্তাফিজুরের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি'কক। এই সময়ে দলের রান ছিল ১৩৪ রান। এরপরে ব্য়াট করতে নামেন নিকোলাস পুরান। ৫৩ বলে ৮২ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। ১৭.১ ওভারে আউট হন তিনি। মাথিসা পথিরানার বলে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা। এই সময়ে লখনউয়ের রান ছিল ১৬১/২ রান। এই সময়ে LSG-র জিততে ১৭ বলে ১৬ রান দরকার ছিল। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরান (১২ বলে ২৩ রান) ও মার্কাস স্টইনিস (৭ বলে ৮ রান) ম্যাচ শেষ করেন এবং লখনউকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৯ ওভারে লক্ষ্য অর্জন করে, আট উইকেটে ম্য়াচ জেতে লখনউ। চলতি আইপিএল-এ চতুর্থ জয় নিশ্চিত করে লখনউ সুপার জায়ান্টস।