ইরানি ট্রফির প্রথম দিনেই দাপট দেখা গেল সৌরাষ্ট্রের স্পিনারদের। যদিও দলগত ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সে ভর করে লড়াই করার রসদ সংগ্রহ করে নিয়েছে অবশিষ্ট ভারত। প্রথম দিনের শেষে পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে, তাতে এই পিচে শেষ ইনিংসে ব্যাট করা মোটেও সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানি ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হয় অবশিষ্ট ভারত একাদশ। রবিবার টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অবশিষ্ট ভারতের ক্যাপ্টেন হনুমা বিহারী। নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকলেও রেস্ট অফ ইন্ডিয়া প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৮ রান তুলে ফেলে স্কোর বোর্ডে।
মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাই সুদর্শন। মায়াঙ্কের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান তুলে ফেলেন সাই। পরে ক্যাপ্টেন হনুমার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান তিনি। মায়াঙ্ক ও বিহারী সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন। তবে হাফ-সেঞ্চুরির আগে থামানো যায়নি সুদর্শনকে।
মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৩ বলে ৩২ রান করে ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজার বলে প্রেরক মানকড়ের হাতে ধরা পড়েন। ৭৫ বলে ৩৩ রান করে মাঠ ছাড়েন বিহারী। পার্থ ভাটের বলে সামর্থ ব্যাসের হাতে ধরে দেন রেস্ট অফ ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। সুদর্শন ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬৪ বলে ৭২ রান করে মাঠ ছাড়েন সাই। তিনি পার্থর বলে প্রেরকের হাতে ধরা পড়ে যান।
এছাড়া সরফরাজ খান ১৭, যশ ধুল ১০, কেএস ভরত ৩৬, শামস মুলানি ৩২ ও পুলকিত নারাং ১২ রান করে আউট হন। দিনের শেষে সৌরভ কুমার ৩০ ও নভদীপ সাইনি ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
সৌরাষ্ট্রের হয়ে ৮টি উইকেটই তুলে নেন স্পিনাররা। ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ২৭ ওভার বল করে ৮৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। যুবরাজসিং দদিয়া ২০ ওভার বল করে ৭৪ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন। পার্থ ভাট ২৭ ওভার বল করে ৮৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন। সুতরাং, দিনের ৯০ ওভারের মধ্যে ৭৪ ওভার বল করেন তিন স্পিনার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অবশিষ্ট ভারতের হাতেও সৌরভ কুমার, শামস মুলানি, পুলকিত নারাংয়ের মতো স্পিনার রয়েছেন। তাই চেতেশ্বর পূজারাদের লড়াই খুব একটা সহজ হবে বলে মনে হয় না।