দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ফেরার পর রঞ্জি ট্রফিতে নিজের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলতে নামেননি ইশান কিষান। বোর্ডের নির্দেশকে উপেক্ষা করেই কোপের মুখে পড়েছেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। বাদ পড়েছেন বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। আরসিবি ম্যাচের পর এবার মুখ খুললেন ইশান কিষান। ঠিক কি কারণে মাঠে ফিরতে চাননি তিনি, জানালেন ইশান।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তিনি ৩৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। জল্পনা চলছিল, ভারতের টি২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাঁকে রাখা হবে না। কিন্তু পারফরমেন্সের নিরিখে তিনিও যে দলে ঢোকার দাবিদার সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন রোহিতদের দলের এই ওপেনার। এবারে আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ইশানের ব্যাট থেকে প্রথম পাঁচ ম্যাচে এসেছে ১৬১ রান। বল খেলেছেন তিনি ৮৮। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৮৩। টি২০ বিশ্বকাপের দলে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যশস্বী জয়সওয়াল করেছেন ৫ ম্যাচে মাত্র ৬৩ রান। এই পরিস্থিতিতেই এবার ইশানের মুখে উঠে এসেছে সেই বিতর্কিত অধ্যায়ের কথা।
আরও পড়ুন-ভাই সেদিন ও যা মেরেছিল…কার তারিফ বারবার গিলের সামনে করেন সিরাজ?
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ইশান কিষান বলেন, 'ম্যাচ না খেললেও আমি সেই সময় অনুশীলন চালিয়ে গেছিলাম। আমি খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় অনেকে অনেক কিছু বলেছে। সোশাল মিডিয়ায় অনেক কিছুই এসেছে। কিন্তু একটা কথা বুঝতে হবে, সব সময় সব কিছু ক্রিকেটারদের হাতে থাকে না'।
আরও পড়ুন-IPL 2024-ক্যাপ্টেন্সিতে AI হার মানবে ধোনির কাছে, এখনও ঘোর কাটছে না আগরকরের
দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজের মাঝেই নিজেকে সরিয়ে নেন। বোর্ড সচিব জয় শাহ, কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নির্দেশ উপেক্ষা করেই খেলেননি রঞ্জি ট্রফিতে। এই বিরতির সময়টা তার কেরিয়ারের জন্য খুব জরুরি ছিল বলেই মনে করছেন ইশান। মুম্বইয়ের এই ব্যাটার বলছেন, ‘সময় কাজে লাগাতে হয়। আগের ইশান কিষান প্রথম দুই ওভারে যতই ভালো বোলিং হোক না কেন, বল নষ্ট করত না। রান করতে চাইত। কিন্তু এখন আমি বুঝতে শিখেছি ২০ ওভারের খেলাটাও যথেষ্ট বড়। এখানেও টাইম নিয়ে সেট হওয়া যায়। অনেক ম্যাচ হারলেও একসঙ্গে কাজ করতে হয়। কেউ পারফর্ম না করতে পারলে, তারা ঠিক কি চিন্তাভাবনা করছে সেটা জানতে চেয়েছি। এভাবেই এই বিরতির সময়টা কাজে লাগিয়েছি’।
আরও পড়ুন-চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্য়াতলেতিকোর বিপক্ষে হার, ‘ভুল করেছি’,স্বীকার বরুশিয়া কোচের
ভারতীয় ক্রিকেটমহলের অন্দরে একটা চিত্র তৈরি হয়েই গেছিল যে বিসিসিআই, কোচ বা নির্বাচক, কাউকেই তোয়াক্কা করেন না ইশান। অনেকটা প্রতিষ্ঠানের থেকে ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে হয়ত বড় করে ভাবেন তিনি। কিন্তু সেই ভাবনা যে মোটেই তার মধ্যে নেই এবং একান্তই ক্রিকেটের স্বার্থেই যে তার এই সিদ্ধান্ত সেটাই বোঝাতে চাইলেন ঝাড়খণ্ডের বাঁহাতি ব্যাটার। ভুলে গেলে চলবে না তার সঙ্গে একই দলে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে ইশান যদি পারফরমেন্স করতে পারেন এবং নির্বাচক ও বিসিসিআইকে যদি রোহিত বোঝাতে পারেন দলে ইশানের গুরুত্ব, তাহলে বন্ধ হতে চলা ভারতীয় দলের দরজা ফের একবার খুলে যেতে পারে তাঁর কাছে, মনে করছে ক্রিকেটমহল।