শুভব্রত মুখার্জি:- কয়েক বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই টেস্ট সিরিজ হেরেছিল জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড দল। তার পরেই টেস্ট দলের অধিনায়কত্বে বদল আনে ইংল্যান্ড দল। দায়িত্ব নেন বেন স্টোকস। হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে। এর পরেই ভোল পাল্টে গিয়েছে ইংল্যান্ড দলের। এক নয়া পদ্ধতিতে খেলা শুরু করে তারা।
লাল বলের ক্রিকেটে অর্থাৎ টেস্টে তারা টি-২০ ফর্ম্যাটে ব্যাটিং শুরু করে। যা একেবারে ধুন্ধুমার ফেলে দিয়েছে। নতুন এই ঘরানার ক্রিকেটকে ব্যাজবল বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজির এই ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দল সব সময়েই টেস্টেও প্রায় ৬ রান প্রতি ওভার রান-রেট রেখে খেলেছে। তবে চলতি রাঁচি টেস্টে কিন্তু কার্যত ব্যাজবলের উলটপুরাণ দেখেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। আর রাঁচি টেস্টেই জুটিতেই এক অনন্য নজির গড়ে ফেলেছেন জো রুট এবং বেন ফোকস।
ব্যাজবল জমানা বা যুগে পার্টনারশিপে সব থেকে স্লো খেলার নজির গড়েছেন জো রুট এবং বেন ফোকস জুটি। এদিন রাঁচিতে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বেন ফোকস এবং জো রুট তোলেন ১১৩ রান। তবে এই রান করতে তাঁরা রান-রেট রেখেছেন মাত্র ২.৫৯ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি মাত্র আড়াই রানের কাছাকাছি রেখে পার্টনারশিপ গড়ে তুলে ধীরে ধীরে লড়াইতে ফেরান তাঁদের দলকে। ব্যাজবল জমানা যবে থেকে শুরু হয়েছে, তবে থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে কমপক্ষে ২৫ রান বা তার থেকে বেশি রানের যতগুলি পার্টনারশিপ হয়েছে, তাতে সব থেকে কম রান-রেট রেখে পার্টনারশিপ গড়ার নজির গড়ে ফেলেছেন রুট-ফোকস।
এদিন ম্যাচের প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড দল। ভারতের হয়ে এদিন অভিষেক হয় পেসার আকাশদীপের। তাঁর দুরন্ত ওপেনিং স্পেলে প্রথম থেকেই সমস্যায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড দল। একটা সময়ে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১২ রান।
এর পরেই ২২ গজে জুটি বাঁধেন জো রুট এবং বেন ফোকস। জো রুট এদিন অনবদ্য একটি শতরানের ইনিংস খেলে দিন শেষে অপরাজিত রয়ে গিয়েছেন। ১০৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন জো রুট। খেলেছেন ২২৬ বল। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি চারে। অন্যদিকে বেন ফোকস আউট হয়েছেন ৪৭ রান করে। তিনি খেলেছে ১২৬ বলে। তাঁর ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৪টি চার এবং একটি ছয়। ৩৭.৩০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে কঠিন পরিস্থিতি থেকে এদিন উদ্ধার করেছেন দলকে।