এশিয়া কাপের মরণ বাচন ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ বলে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে জিতে ফের এশিয়া কাপের ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই বছর তারা মুখোমুখি হবে ভারতের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে তারা। এই দিন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার আসালঙ্কা চাপের মুখে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে আসেন পাকিস্তানের হাত থেকে। শেষ মুহূর্তে তাদের একটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও স্নায়ু ঠান্ডা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর এই ম্যাচ জেতানো ইনিংস নিয়ে প্রশংসার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট মহলে। শেষ বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচ জেতান তিনি। ম্যাচ শেষ এরপর এই বিষয়ে চারিথ জানান তিনি সেই সময় পথিরানাকে শুধু জোরে দৌড়নোর কথা বলেন।
(এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকা দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের ম্যাচ ৫০ ওভারের বদলে ৪২ ওভারে খেলা হয়। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তোলে। ডিএল এস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৫২ রানেই। শেষ দুই বলে শ্রীলঙ্কার জিততে গেলে প্রয়োজন হয় ৬ রান। সেই সময় একটি চার মারেন ম্যাচ জেতানোর নায়ক আসালাঙ্কা। তারপর শেষ বলে দরকার হয় দুই রান। শেষ বলে দৌড়ে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের শেষে রুদ্ধশ্বাস এই মুহূর্ত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমার মাথায় চলছিল আমি কিভাবে বল কে দূরে মেরে ২ রান সম্পন্ন করব। কারণ মাঠ একটু বড় তাই ঘাসে মারতে পারলেই রান পেতাম। আমি তখন পথিরানাকে জোরে দৌড়াতে বলি। আমি সেই সময় মনে মনে ভাবছিলাম আমাকে বাউন্সার নাইতো ইয়ার্কার বল করা হবে কিন্তু একটা স্লো ডেলিভারি আসে আমার কাছে। ডেলিভারিটা আমার পক্ষেই ছিল।’
তিনি আরও বলেন, 'আমি সেই সময় খুব উত্তেজিত হয়েছিলাম। মেন্ডিস ও সাদিরা অসাধারণ ব্যাট করেছে। আমি এই ম্যাচটা শেষ করতে চেয়েছিলাম। ম্যাচ ফিনিশ করাটাই আমার দায়িত্ব। এই ইনিংসটাকে আমি আমার খেলা দ্বিতীয় সেরা ইনিংস হিসাবে রাখবো।' এই অলরাউন্ডার ৪৭ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে তোলেন।
(এশিয়া কাপে কার কবে খেলা জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
আসালঙ্কা এই ম্যাচ শেষ করলেও প্রধান ভিত গড়ে যায় মেন্ডিস এবং সাদিয়ার জুটি। ৯৮ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে তাদের। ৯১ বলে ৮৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া মেন্ডিস বলে যান, 'আমি আমার খেলায় খুব খুশি। ফাইনালে উঠতে পেরে আরো ভালো লাগছে।' শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেন, 'এই ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই ছিল। তবে শেষের দিকে উইকেট পড়ে যাওয়া, খেলাকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যায়। আমরা পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরে আসার একটা সুযোগ তৈরি করে দিই। কিন্তু আমরা জানতাম চারিথ এই কাজটা করতে পারবে। পরপর দুইবার ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ লাগছে।'