আইপিএলে শুরুটা দুরন্ত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে জিতেও পরের তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে তাঁরা। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে রয়েছে নাইটদের বেঙ্গালুরু ম্যাচ। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বিরাট কোহলির লড়াই, অর্থাৎ সম্মানরক্ষার ম্যাচ বলা যায়। এবারে আরসিবির ডেরায় গিয়ে তাঁদের হারিয়ে এসেছিল নাইটরা। তখন লাগাতার মিচেল স্টার্ক বল হাতে খারাপ পারফরমেন্স করেলও তা ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল নারিন, রাসেলদের ব্যাটিং দাপটে। কিন্তু শেষ তিন ম্যাচে ডেথ ওভারে জঘন্য বোলিং করেছে নাইটরা।
২৪.৫ কোটির স্টার্ককে নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। কিন্তু বাকিরাও রাজস্থান ম্যাচে হরির লুটের মতো রান দিয়েছে ম্যাচের শেষ বেলায়। একই রোগে ভুগেছিল লখনউ ম্যাচেও। পরপর উইকেট হারিয়ে যখন লখনউ কোনঠাসা হয়ে গেছিল, তখনও ডেথ ওভারে বাজে বোলিংয়ের জেরে নিকোলাস পুরান লড়াই দিয়েছিল। কিন্তু কেকেআর জিতে যাওয়ায় আর বেশি কথা হয়নি। কিন্তু রাজস্থান ম্যাচে নাইট বোলারদের কার্যত কচুকাটা করে দিয়েছিলেন বাটলার। আর তাতেই তেড়েফুঁড়ে বোলিং নিয়ে পড়েছে নাইট শিবির। ভরত অরুন দীর্ঘদিন জাতীয় দলে দায়িত্ব সামলেছেন। রবি শাস্ত্রীর যুগে তিনিই বুমরাহ-জাদেজাদের সঙ্গে কাজ করতেন। এবার তাঁরই ওপর বর্তেছে নাইট বোলারদের ট্র্যাকে ফেরানোর কাজ।
শেষমেষ স্পট বোলিংয়ের পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হয়েছে নাইট থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। স্পট বোলিং অর্থাৎ ডেথ ওভারে ব্যাটারদের ক্ষেত্রে কোন জায়গায় বল করতে হবে। শর্ট পিচ ডেলিভারি না লেন্থ ডেলিভারি, ইয়র্কার না আউট সাইড অফ স্ট্যাম্প, সেই অনুযায়ী পিচের মাঝেই চিহ্ন তৈরি করে দিয়ে সেই জোনে বোলিং করতে বলা হল। দেখা হল, কতজন বোলার সেই স্পটের ভিতরে ফেলতে পারে। সেই মতোই সকলকে বেশি করে স্পট বোলিং করে হাত সেট করে নেওয়া হল।
আরও পড়ুন-IPL 2024- ধোনি ভাই পাত্তা দিতে বারণ করেছে, সমালোচকদের কথা কানেই তোলেন না পন্ত!
সুনীল নারিন বাদ দিলে এবারের আইপিএলে নাইট বোলারদের অবস্থা করুণ। মিচেল স্টার্ক ৬ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ৫ উইকেট, ইকোনমি ১০.৫৫। আন্দ্রে রাসেল ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট, তাঁরও ইকোনমি ১০-এর ওপর। বরুণ চক্রবর্তী ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট, ইকোনমি ৯-এর ওপরে।
আরও পড়ুন-IPL 2024-রোহিত বা বোর্ড নয়, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার থাকবে কিনা,সেটা ঠিক করুক দর্শকরাই, মত পন্টিংয়ের
বৈভব অরোরা ৪ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন, ইকোনমি ৯.৫৭। হর্ষিত রানা ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট ইকোনমি ৯.৫০। আর সেখানে সুনীল নারিন ৬ ম্যাচে নিয়েছে ৭ উইকেট, ইকোনমি ৬.৮৮, তাও নাইট বোলারদের এই মন্দার বাজারে। যেখানে গুচ্ছ গুচ্ছ রান দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছেন স্টার্ক, রাসেলরা। রাজস্থান ম্যাচে ১৫ ওভার শেষে তাঁদের স্কোর ছিল ১৪৫। ২০ ওভার শেষে সেটাই গিয়ে দাঁড়ায় ২২৪। অর্থাৎ পাঁচ ওভারে প্রায় ৮০ রান দেন রাসেলরা। এই ডেথ বোলিং শুধরাতেই তাই আরসিবি ম্যাচের আগে বোলারদের স্পট বোলিং করালেন নাইট কোচ।
আরও পড়ুন-IPL 2024-‘বউও বলেনি যে আমার হাসিটা দারুণ’...কার কথায় একেবারে গলে গেলেন KKR মেন্টর গম্ভীর?
ইডেনে রাজস্থানের বিপক্ষে যেভাবে জেতা ম্যাচ হেলায় হেরেছে নাইটরা, তাতে লিগ টেবিলের লাস্ট বয়ের বিপক্ষে নামার আগেও নাইটদের চিন্তায় পচা শামুকে পা কাটার তত্ব।