সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বেঙ্গালুরুতেই ফ্যাফ ডু'প্লেসির দলের বিরুদ্ধে আইপিএলে ফের ইতিহাস লিখেছেন। তারা নিজেদের রেকর্ড ভেঙে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছে। এটি এখন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে এবার আইপিএলের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ ২৭৭ রান করেছিল। সেটাই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ছিল। এবার সেই রেকর্ড আরসিবি-র বিরুদ্ধে ভেঙে নয়া নজির গড়ল প্যাট কামিন্স ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি, IPL-এ চতুর্থ দ্রুততম, হায়দাবাদের হয়ে ইতিহাস লিখলেন হেড
আর হায়দরাবাদের ঝোড়ো পারফরম্যান্সের পর, আরসিবি-র ব্য়াটিংয়ের তথৈবচ দশা দেখে, তীব্র ভাষায় বেঙ্গালুরুর দলকে আক্রমণ করেন ভারতের প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় মহেশ ভূপতি। তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্য়ানেজমেন্টকেই মূলত কটাক্ষ করেছেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, খেলাধুলার স্বার্থে, আইপিএল, অনুরাগী এবং খেলোয়াড়দের স্বার্থেও বিসিসিআই-এর উচিত একজন নতুন মালিকের কাছে আরসিবি-কে বিক্রি করে দেওয়া, যিনি অন্যান্য দলগুলির মতো করেই এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সাজিয়ে তুলতে যত্নবান হবেন। #ট্র্যাজিক।’
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ট্র্যাভিস হেড। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন অভিষেক শর্মা। হেড-অভিষেক মিলে ওপেনিং জুটিতেই ১০৮ রান করেন। ২২ বলে ৩৪ করে অভিষেক আউট হলেও, ঝোড়ো শতরান হাঁকান হেড। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে তিনি এদিন ইতিহাস লিখে ফেলেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্লেয়ার হিসেবে এটি আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এবং আইপিএলের ইতিহাসে সামগ্রিক ভাবে এটি চতুর্থ দ্রুততম শতরান। ৯টি চার এবং ৮টি ছক্কার হাত ধরে হেড শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এর পরেও অবশ্য থামেনি হায়দরাবাদের ঝড়।হেনরিখ ক্লাসেন ক্রিজে এসেই পেটাতে শুরু করেন। ৭টি ছক্কা এবং ২টি চারের হাত ধরে ৩১ বলে ৬৭ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। এর পর ১৭ বলে অপরাজিত ৩২ করেন এডেন মার্করাম। ১০ বলে ঝোড়ো ৩৭ করে অপরাজিত থাকেন আব্দুল সামাদ। যার নিটফল, আইপিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের নজির ফের গড়ে ফেলল হায়দরাবাদ। ২৮৮ রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি-কে জিততে হলে লিখতে হবে নতুন ইতিহাস।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দেওয়াল ধরে হাঁটছেন, ধোনির চোট নিয়ে আপডেট দিলেন CSK-এর বোলিং কোচ
তবে রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি যখন একের পর এক উইকেট যখন হারাচ্ছে আরসিবি, তখন টুইটটি করেন ভূপতি। আরসিবি শুরুটা খারাপ করেননি। ৮০ রানে তারা প্রথম উইকেট হারানোর পর থেকে চাপে পড়ে যায়। সেখান থেকে ১২২ রানের মধ্যে তারা ৫ উইকেট হারায়। তবে দীনেশ কার্তিক ঝড়ে বেঙ্গালুরু অক্সিজেন পায়। ৩৫ বলে অরাজিত ৮৩ রান করেন কার্তিক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২৫ রানে ম্যাচটি হারে আরসিবি। এই নিয়ে এবার আইপিএলে সাত ম্যাচ খেলে ছ'টিতেই হারল তারা। মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে।