পারথের পর মেলবোর্নেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হল পাকিস্তানকে। অজিদের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পকেটে তুলতে পারল না শান মাসুদরা। ৭৯ রানে ম্যাচ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি, সিরিজও জিতল তারা। এই হারের বড়সড় ধাক্কা দিল গোটা পাক শিবিরকে। তবে এদিন ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন তারকা তথা দলের হেড কোচ মহম্মদ হাফিজ। আম্পায়ারিং ও প্রযুক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করলেন যে এই বিষয়গুলি এবার গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত এবং এগুলির জন্যই অনেক সময় ম্যাচের মোর পালটে যায়। পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেন যে আধুনিক প্রযুক্তি ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করে দিচ্ছে।
শুক্রবার, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর ছিল চতুর্থ দিনের খেলা। এদিন অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে মাঠে নামেন মিচ স্টার্ক। তবে এদিন বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া ২৬২ রানের মধ্যেই সবকটি উইকেট হারায় তারা। জবাবে ৩১৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে একেবারে হাবুডুবু খেতে দেখা যায় পাক ব্যাটারদের। স্টার্ক ও কামিন্সের দাপটের সামনে রীতিমতো ঝুঁকতে বাধ্য হয় তারা এবং অবশেষে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জেতে ৭৯ রানে। তবে এদিন ম্যাচ শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আম্পায়ারিং ও প্রযুক্তিকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাক দলের ডিরেক্টর মহম্মদ হাফিজ।
মহম্মদ রিজওয়ানকে আউট দেওয়া নিয়ে রীতিমতো চোটে গেলেন তিনি এবং জানালেন, 'আমাদের নিজেদের অনেক খামতি ছিল আমি মানছি। কিন্তু এটাও সত্যি যে অনেক সময় আম্পায়ারিং আর আধুনিক প্রযুক্তির ভুলের কারণে অনেক জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হচ্ছে আজকাল। তো আমি মনে করি এগুলো এবার গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।'
পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেন যে এই বিষয়গুলি ক্রিকেটের মারাত্মক ক্ষতি করছে। হাফিজ বলেন, 'আমরা ক্রিকেট খেলি মন থেকে। হারি কি জিতি, যাই হোক, আমরা সবকিছু মাথা পেতে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝেমাঝে আমার মনে হয় যে আমরা বিপক্ষ দলের থেকে আধুনিক প্রযুক্তির বিরুদ্ধেই বেশি লড়ছি। অনেক সময় টেকনোলজি এমন অনেক কিছু আনে যেগুলি আমাদের মাথার উপর দিয়ে যায়। বল যদি স্টাম্পে লাগে সেটা আউট হয়। এর জন্য আম্পায়ার্স কলের কি দরকার আলাদা করে? আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রিকেটের মারাত্মক ক্ষতি করছে।'