মাঠে ব্যাট-বলের লড়াই যত উত্তপ্ত হয়, ক্রিকেট ততই মনোরঞ্জক হয়ে ওঠে। তবে লড়াইটা বাউন্ডারির ভিতরে ফেলে আসতে পারেন না সবাই। ফলে মাঠের বাইরেও যার রেশ চোখে পড়ে মাঝে মধ্যে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচের পরে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ঠিক তেমনই খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব দেখাতে পারলেন না।
আসলে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির কাজে খুশি ছিলেন না বাবর আজমরা। যদিও ফারুকি কোনও ভুল কাজ করেননি। তিনি যা করেছেন, ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই। ম্যাচের শেষ ওভারে ফারুকি নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে রান-আউট করেন শাদব খানকে। সেই মানকাডিংয়ের ঘটনাই মেনে নিতে পারেননি বাবর আজমরা।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। ৩৫ বলে ৪৮ রান করে নন-স্ট্রাইকে ব্যাট করছিলেন শাদব। স্ট্রাইকে ছিলেন নাসিম শাহ। প্রথম বলেই প্রান্তবদলের তাড়ায় ছিলেন শাদব। তাই ফারুকি ডেলিভারি করার আগেই তিনি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। শাদবকে বাড়তি সুবিধা দিতে রাজি হননি ফারুকি। তিনি বল না করে স্টাম্প ভেঙে দেন। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখার পরে শাদবকে রান-আউট ঘোষণা করেন।
আইসিসি ইতিমধ্যেই মানকাডিংকে রান-আউটের পর্যায়ে উন্নীত করেছে। তাই এই নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। বরং এক্ষেত্রে নিয়ম মানেননি শাদব। অন্যায় সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যার মাশুল দিতে তাঁকে।
ম্যাচের শেষে শাদবের পাশে থাকতে চাওয়া বাবর আজমের আচরণ দেখে 'চোরের মায়ের বড় গলার' মতো মনে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। পাক শিবির রীতিমতো আস্ফালন দেখায়। অসভ্যতা শুরু করেন শাহিন আফ্রিদি। তিনি আফগান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে রাজি হননি। এমনকি অন্যদেরও ফারুকিদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে মাঠ ছাড়তে বলেন শাহিন।
বাবর প্রাথমিকভাবে বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি শাহিনকে ডাকেন আফগানদের সঙ্গে করমর্দনের জন্য। তবে মহম্মদ নবিকে সামনে পেয়ে বাবর আজমকেও নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায়।
যদিও পাকিস্তান শেষমেশ ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে। শেষ ওভারে ফারুকিকে জোড়া বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতান নাসিম শাহ। হাম্বান্তোতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ পকেটে পোরেন বাবররা।