U19 Asia Cup: অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নেপালকে একাই বধ করলেন ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির এই পাক পেসার

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নেপালকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান। তবে এই ম্যাচে জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন জিশান।

মহম্মদ জিশান। ছবি-এক্স

'অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে' জয় দিয়ে শুরু করলো পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে নেপালকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিল পাক ক্রিকেটাররা। একটি নয়, দুটি নয়, একেবারে ৭ উইকেটে নেপালকে বধ করল পাক বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করে পুরো পঞ্চাশ ওভারও খেলতে পারেনি নেপাল। ৪৮ ওভারের শুরুতেই সবকটি উইকেট হারায় তারা। একমাত্র উত্তম মাগারের ব্যাট থেকেই আসে অর্ধশতরানের ইনিংস।

 জবাবে রান তাড়া করতে নেমে সহজেই ম্যাচটি পকেটে তুলে নেয় পাকিস্তান। ২৭ ওভারের শুরুতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাক ব্যাটাররা। সৌজন্যে আজান ওয়াইস ও সাদ বাইগের মারকুটে ব্যাটিং। তবে এদিনের ম্যাচে নজরকাড়া পারফরম্যান্স এসেছে পাক বোলার মহম্মদ জিশানের থেকে। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির এই লম্বা বোলারের বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় নেপালের ব্যাটিং অর্ডার। ৯.২ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৬টি উইকেট।

শনিবার দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠে টসে জিতে নেপালকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় পাকিস্তান অধিনায়ক সাদ বাইগ। তবে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি দেব খানাল বাহিনীর জন্য। ১৭ ওভারের মধ্যে হারায় পাঁচটি উইকেট। বোর্ডে তখন রান পঞ্চাশও হয়নি। এরপর উত্তম মাগারের কাঁধে ভর করে ইনিংসে কিছুটা গতি আনে নেপাল। তাঁর সংগ্রহ ৭৬ বলে ৫১, যার মধ্যে রয়েছে ৩টি চার ও ২টি ছয়। দীপেশ কান্দিলের সঙ্গে ৬৮ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। তবে অবশেষে তিনি শিকার হন আমির হাসানের। এরপর ফের শুরু করে নেপালের ব্যাটিংয়ে ধস নামা এবং অবশেষে ৪৭ ওভার ২ বলে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নেন মহাম্মদ জিশান। মাত্র ১৯ রান দেন তিনি।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। প্রথম ওভারেই বিনা কোন রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শামিল হোসেন। এরপর ৭ ওভারের মাথায় ১৫ রানে আউট হন শাহজেব খান। তবে পাক অধিনায়ক সাদ বাইগ ও আজান ওয়াইসের ১০৮ রানের বড়ো পার্টনারশিপের উপর ভর করে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ১৩১ রানের তৃতীয় উইকেট হারালেও জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় পাকিস্তান। পরে মহাম্মদ জিশানের দ্রুত ২০ রানের ইনিংস পাকিস্তানকে পার করিয়ে দেয় ফিনিশ লাইন। বল হাতে দুর্দান্ত স্পেলের জন্য ম্যাচের সেরাও হন তিনি।