Rizwan Javed ban for match-fixing: সাড়ে ১৭ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতি বিরোধী আইনের বেশ কয়েকটি ধারা ভেঙে বড় ধরনের শাস্তি পেয়েছেন রিজওয়ান জাভেদ। যুক্তরাজ্যের এই ক্লাব ক্রিকেটারকে শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৭ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে আইসিসি এই শাস্তির ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসিবির ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি ধারা ভাঙার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিজওয়ান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসিবি পক্ষ থেকে ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালসহ মতো আট জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের আবু ধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। ওই আট জনের একজন বাংলাদেশের স্পিনিং অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ছিলেন। যাকে গত মাসে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এবার বড় শাস্তি পেলেন রিজওয়ান। জানা গিয়েছে, রিজওয়ান অভিযোগের জবাব দিতে ব্যর্থ হলে আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল জে বেলফ কেসি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। রিজওয়ানের পক্ষ থেকে উত্তর না পাওয়ায় ধরে নেওয়া হয়েছে, আনিত অভিযোগগুলো তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের দেওয়া দ্বিতীয় দীর্ঘতম নিষেধাজ্ঞা এটি। এর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট অফিসিয়াল রাজান নায়ারকে ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২১ আবুধাবি টি-১০ ম্যাচে অনুপযুক্তভাবে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে। এছাড়া দুর্নীতিমূলক আচরণে জড়িত খেলোয়াড়ের বিনিময়ে অন্য প্রতিযোগীকে পুরষ্কার প্রদান, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও অংশগ্রহণকারীকে তিনটি পৃথক সময়ে ফিক্সিং করতে প্ররোচিত করা/প্রলুব্ধ করা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে সহায়তা করার মামলাও আরোপ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা রিজওয়ানের আগের উল্লিখিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে এই অপরাধের জন্য অস্থায়ীভাবে স্থগিত হওয়া থেকেই শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ইন্টেগ্রিটি অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, 'পেশাদার ক্রিকেটারদের দুর্নীতির চেষ্টার জন্য রিজওয়ান জাভেদকে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।' এইরকমই দুর্নীতির তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নাসির হোসেনও রয়েছেন।
রিজওয়ান জাভেদ ছাড়াও আরও কয়েকজনকে কোডের বিভিন্ন ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কৃষ্ণ কুমার চৌধুরী (একটি দলের সহ-মালিক) পরাগ সাংভি (একটি দলের সহ-মালিক) আশার জাইদি (ব্যাটিং কোচ) সালিয়া সামান (ঘরোয়া খেলোয়াড় সংযুক্ত আরব আমিরাত) সানি ধিল্লন (সহকারী কোচ) নাসির হোসেন (বাংলাদেশ খেলোয়াড়) এবং শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার)। ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের খেলোয়াড় নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।