হঠাৎ করেই ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন কুইন্টন ডি'কক। মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঠিক তার পরেই অবসরের কথা জানিয়ে দেন প্রোটিয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার।
এমনটা নয় যে, বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত না হয়ে অভিমানে খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডি'কক। বরং বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াডে নাম রয়েছে তাঁর। কুইন্টন বিশ্বকাপ খেলবেনও। তবে বিশ্বকাপের পরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দেশের জার্সি চিরতরে তুলে রাখবেন তিনি।
বিশ্বকাপের পরেই ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজে কুইন্টন ডি'কককে দলে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কেননা ডিসেম্বরে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগ খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। প্রোটিয়া বোর্ড এই বিষয়ে কুইন্টনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে ডি'কক অবসর ঘোষণা করায় তার আর প্রয়োজন হবে না। যার অর্থ, কুইন্টনের বিগ ব্যাশ খেলায় আর কোনও বাধাই রইল না।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঠিক এমনই হঠাৎ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন কুইন্টন। পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান বলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ডি'কক।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-২০ সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় কুইন্টন ডি'কককে। দক্ষিণ আফ্রিকা ০-৩ ব্যবধানে সিরিজ হেরে বসে। তবে অজিদের বিরুদ্ধে আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজে মাঠে নামবেন তারকা উইকেটকিপার। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা ৫ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের স্কোয়াডে নাম রয়েছে কুইন্টনের।
ডি'কক এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১৪০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। ৪৪.৮৫ গড়ে ৫৯৬৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি করেছেন ১৭টি। হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ২৯টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসে ১৭৮ রানের। ১৮৩টি ক্যাচ ধরা ছাড়াও ১৪টি স্টাম্প-আউটও করেছেন ডি'কক।
কুইন্টন তাঁর টেস্ট কেরিয়ার শেষ করেন ৩৮.৮২ গড়ে ৩৩০০ রান সংগ্রহ করে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সাকুল্যে ৫৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটে ডি'কক ৬টি সেঞ্চুরি করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ২২টি। টেস্টে ২২১টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ১১টি স্টাম্প-আউট করেন তিনি। কুইন্টন এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৮০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমে ২২৭৭ রান সংগ্রহ করেছেন।