ক্রিকেটে বহু প্রচলিত এক প্রবাদ, ‘ক্যাচেস উইন ম্যাচেস’। কলকাতায় ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা জিততে পারবে কিনা লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে, তার উত্তর সময় দেবে। কিন্তু দুরন্ত দুটি ক্যাচ যে নাইট রাইডার্সকে কলকাতার মাঠে লড়াইয়ে রাখল তা বলাই যায়। উইকেটের পিছনে নাইট রাইডার্সের ইংলিশ কিপার ফিল সল্ট একটি অনবদ্য ক্যাচ নিলেন। তবে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন নাইট রাইডার্সের আরেক ক্রিকেটার রমনদীপ সিং। পাখির মতো উড়ে গিয়ে, বল তালুবন্দী করলেন। সাজঘরে ফেরালেন ফার্স্ট ডাউনে খেলতে আসা দীপক হুডাকে।
আরও পড়ুন-IPL 2024- চন্দ্রকান্তকে নিয়ে সোচ্চার প্রাক্তন শিষ্যরা, সতর্ক প্রতিক্রিয়া গম্ভীরের
কলকাতায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। শুরুটা ভালো হয়নি লখনউয়ের। আরও একবার কম রানেই সাজঘরে ফেরে কুইন্টন ডি কক, করেন মাত্র ৮ রান। এরপরই ফার্স্ট ডাউনে ব্যাট করতে নামেন দীপক হুডা। এবারের আইপিএলে বড় রান না পেলেও, ঘরোয়া মরশুমে বেশ ভালোই ছন্দে ছিলেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে নামায় স্বাভাবিকভাবেই সেট হওয়ার পর আগ্রাসী মেজাজ দেখাতে চেয়েছিলেন। একটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন। কিন্তু পঞ্চম ওভারেই মিচেল স্টার্কের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। এক্ষেত্রে স্টার্কের যতটা কৃতিত্ব, তার থেকে বহুগুন কৃতিত্ব অবশ্যই পয়েন্টে ফিল্ডিং করা রমনদীপ সিংয়ের। উড়ন্ত বাজপাখির মতোই নিজের শরীর আকাশে ছুঁড়ে অনবদ্য ক্যাচ নিলেন তিনি। এবারের আইপিএলের অন্যতম সেরা ক্য়াচ তা বলাই যায়।
হুডা সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল লড়েন। কিন্তু দলকে বড় রানে তিনি নিয়ে যেতে পারেননি। করেন ৩৯ রান। এরপর মাঠে নামেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মার্কাস স্টইনিস। প্রথম ৪ বলে করেছিলেন ১০ রান। এরপর দ্বাদশ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বল ঠিক মতো রিড করতে পারেননি। ব্যাটে লেগে বলে স্লিপের দিকে চলে যায়। কিন্তু টি-২০ ম্যাচে তো পাওয়ার প্লের পর স্লিপে ফিল্ডার দেখা যায় না। তবে ফিল সল্ট উইকেটের পিছনে থাকলে প্রয়োজনও পড়ে না, সেটাই বোধ হয় বুঝিয়ে দিলেন তিনি। শরীর শূন্যে ছুঁড়ে একহাতে নিলেন স্টইনিসের ক্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডারকে মাত্র ১০ রানেই ফেরালেন সাজঘরে।
আরও পড়ুন-IPL 2024-‘এত কম বয়সে অধিনায়ক হব ভাবতে পারিনি’, অকপট শ্রেয়স আইয়ার
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টস ৭ উইকেটে ১৬১ রান করে। ৩২ বলে ৪৫ রানের ক্যামিও আসে নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে। এতদিন যাকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে, সেই স্টার্ক নেন ৩ উইকেট।