শুভব্রত মুখার্জি :- বৃহস্পতিবারেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজেদের ৪২তম রঞ্জি ট্রফির শিরোপা জয় করেছে মুম্বই দল। ফাইনালে অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বাধীন মুম্বই দল শুরুটা ভালো না করলেও তারা শেষ পর্যন্ত কামব্যাক করে বড় ব্যবধানে ফাইনাল জিতেছে। ১৬৯ রানে তারা হারিয়ে দিয়েছে বিদর্ভকে।
ফাইনালে জিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি অজিঙ্কা রাহানে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য খেলোয়াড়দের জীবনে খারাপ সময় আসবে আবার ভালো সময়ও আসবে। তবে ট্রফি জিততে পারার আনন্দটাই আলাদা। দলের হয়ে সবথেকে কম রান করার পরেও যে আমরা ট্রফিটা জিততে পেরেছি এতে আমি খুব খুশি।' গোটা মরশুম জুড়েই ব্যাট হাতে সেইরকমভাবে ছন্দে ছিলেন না রাহানে। তার প্রভাব তাঁর পারফরম্যান্সের উপর পড়েছে।
রঞ্জি ট্রফির সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে মাত্র ২১৪ রান করেছেন রাহানে। মুম্বই দলের হয়ে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় একেবারে তলার দিকে রয়েছে তাঁর নাম। নয় নম্বরে থাকা রাহানে ফাইনালের প্রথম ইনিংসেও রান পাননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে যখন তাঁর দলের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তিনি। ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে লড়াইতে ফেরান তিনি। মুশির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ১৩০ রান যোগ করেন।
ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে রাহানে জানিয়েছেন, 'যদিও আমার দলের হয়ে সবথেকে কম রান (গোটা মরশুমে) আমিই করেছি তবুও আমি সবথেকে সুখী মানুষ। কারণ আমি ট্রফিটা তুলতে জিততে পেরেছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে কেরিয়ারে ভালো সময়ও আসবে পাশাপাশি খারাপ সময়ও আসবে। তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল সাজঘরে একটা সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা। একে অপরের সাফল্যকে উপভোগ করা। আমার কাছে এটা (রঞ্জি ট্রফি জয়) খুব স্পেশাল মুহূর্ত।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘গত বছর আমরা নক আউট পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করতেই পারিনি। মাত্র এক রানের জন্য আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি। আমাদের সঠিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। দলের মধ্যে সঠিক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। আমরা দলে ফিটনেসের একটা সংস্কৃতি তৈরি করি। আমি এমসিএকে সঠিক পরিবেশ তৈরি এবং সবরকম সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। যে লড়াইটা বিদর্ভ করেছে আমি তাকে কুর্নিশ জানাই। ৫৩৮ রান তাড়া করতে নেমে হাল ছেড়ে দেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু ওরা তা করেনি। লড়াই চালিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। ওরা খুবই ভালো খেলেছে।’
রঞ্জি ফাইনালে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তরুণ তারকা মুশির খান। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন তনুষ কোটিয়ান।